সমুদ্র উপকূল ঘেঁষে নয়নকাড়া সৌন্দর্যের তীর্থভূমি সীতাকুণ্ড থানার ফৌজদার হাটের ডিসি পার্ক। গত ২৫ শে জানুয়ারী বর্নাঢ্য আয়োজনের মাধ্যম জনতার জন্য খুলে দেওয়া হয় বর্ণিল ফুলে উদ্ভাসিত ডিসি পার্ক। প্রায় একমাস চলবে ফুলের উৎসব। ১২৭ প্রজাতির ফুলগাছ আনা হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও দেশের জেলা উপজেলা থেকে। বাইরে থেকে তেমন বিস্ময়কর মনে না হলেও ত্রিশ টাকায় টিকেট নিয়ে ভিতরে প্রবেশের সাথে সাথে দেখা যায় স্মৃতিময় অতলান্ত ভালোবাসার এক সুরম্য উদ্যান। যা দুচোখ করে আলোড়িত। ফুলে ফুলে ভরে উঠে মনের দখিনা জানালা। জেলা প্রশাসকের এমন দৃষ্টি নন্দন মনোভাবে কৃতজ্ঞ চট্টলবাসী।
১৯৪ একরের বিশাল জায়গায় দুটি বড় দিঘির আশ পাশ ঘিরে গড়ে তোলা হয় রকমারী ফুলের বাহার। চোখ ঝলসানো এমন মনোরম ছায়াবরণে সৌন্দর্যে অভিভূত হয়ে দর্শনার্থী ছুটে যাবে বারে বারে। কিশোর বৃদ্ধ সহ সবার মনোরঞ্জনের জন্য এক অসাধারণ স্থান। তরুণ তরুণীরা জোড়া জোড়া সম্মোহনী হয়ে ঠিকানা খুঁজে নেবে স্বঘোষিত ভালোবাসার নীলাময় ডিসি পার্কে। বলা যায়, তীর্থ স্বর্গে ভাসছে সদ্য নির্মিত ফৌজদার হাট ডিসি পার্ক। মানুষে মানুষে উপচে পড়া এই অরণ্য তীর্থ দিনে দিনে দর্শনার্থী মুখরে সাড়া পড়ছে পুরো নগরীর সব সর্বস্থানে। প্রতিটি ক্ষণ–জমে উঠছে নানা মনের নানা মানুষের কোলাহলে। সপ্তাহে শুক্রবার যেন অবারিত মানুষের ঢল গ্রোত। বাধ ভাঙা জোয়ারের বহমান।
পার্কে আছে নৌকাবাইচ, সুর্যোদয় দেখার পযেন্ট, শিশুদের মনোরঞ্জনের নানা ভিশন স্থাপনা নানা রাইড, ওয়াকওয়ে, কিউট জোন সহ প্রতি সপ্তাহে থাকছে আকর্ষণীয় দেশজ সাংস্কৃতিক আয়োজন। যা না দেখে বর্ণনা করা দুরূহ। গীটারের শব্দ তরঙ্গের মূর্চ্ছনা। বর্তমান ফুলের চারা গাছ বড় হয়ে জুড়াবে দর্শনার্থীর মন মনন। ডিসি পার্ক চট্টগ্রামের সব সুরভী মায়াময় স্থান সমূহকে ছাড়িয়ে হয়ে উঠবে মা মাটি সমুদ্র সফেদ নন্দিত ভালোবাসার মুখর স্বপ্নশালা। সব শ্রেণি বর্ণ মানুষের আরাধ্য অর্জিত মন রঞ্জনের চিত্তশালা।