দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে পঁচাত্তরের পর সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন বলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার দুপুরে গণভবনে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি বলেন, নানা ধরনের অপকর্ম করে তারা (বিএনপি–জামায়াত) এবারের নির্বাচন ঠেকাতে চেয়েছিল। এবারের নির্বাচনে সব থেকে বড় কথা হল– জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে গেছে এবং ভোট দিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে পঁচাত্তর সালের পর যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, সবচেয়ে অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন এবারের নির্বাচন। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সামনের যাত্রাপথ এত সহজ না। অনেক বাধা–বিঘ্ন অতিক্রম করতে হয়। অনেক চক্রান্ত এই বাংলাদেশটাকে ঘিরে আছে। বাংলাদেশের মানুষ আজকে আর্থিকভাবে সচ্ছলতা পেয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের আজকে পেটে ভাত আছে। তারা চিকিৎসা পাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে দিচ্ছি। আজকে বিদেশ থেকে পুরনো কাপড় এনে পরতে হয় না। ভাত–কাপড়ের ব্যবস্থা যেমন করা হয়েছে, চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি, শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এভাবে মানুষের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দ্রব্যমূল্য প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে, অনেক টাকা দিয়ে আমাদের কিনে আনতে হয়– সার, বীজ, গম, জ্বালানি তেল, ভোজ্য তেল, গ্যাস; অনেক কিছুই আমাদের বিদেশ থেকে কিনতে হয়। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম যেমন বেড়ে গেছে, সেই সঙ্গে সঙ্গে পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে ইউক্রেন–রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে। এই মূল্যস্ফীতির কারণেই নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।
আনাবাদি জমিতে চাষাবাদ বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, যারা নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ তাদের একটু কষ্ট হচ্ছে। সবাই যদি আমরা অনাবাদি জমিগুলো চাষ করে ফেলি, তাহলে আর এই খাদ্যের অভাব থাকবে না। বরং আমরা আরও উদ্বৃত্ত করতে পারব, মানুষকে দিতেও পারব। যেখানে যত পতিত জমি আছে, সব আমাদের চাষের আওতায় আনতে হবে। তার জন্য যতটুকু সহযোগিতা করা দরকার আমরা করব। সেই সঙ্গে সমবায়ের মাধ্যমে বাজারজাতের ব্যবস্থা হবে।
খাদ্যশস্য সংরক্ষণে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক জেলায় জেলায় খাদ্যশস্য যাতে সংরক্ষণ করা যায়; যখন উদ্বৃত্ত হবে সেটা সংরক্ষণ করা, প্রক্রিয়াজাত করা, সেভাবে আমরা কাজ করার ব্যবস্থা নিয়েছি ইতোমধ্যে।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক প্রকল্প দিই, কাজ করি। সেই কাজগুলো যাতে যথাযথভাবে হয়। মানুষ যেন গালি না দেয়। কাজ দেখে যেন মানুষ আস্থা–বিশ্বাস আনতে পারে। এই আস্থা–বিশ্বাস সব থেকে বেশি দরকার।