অমর একুশে ২০২৪ বইমেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে বৈশ্বিক মঞ্চে পৌঁছে দিতে বিভিন্ন ভাষার অনুবাদের পাশাপাশি মুদ্রিত বইগুলোর ডিজিটাল প্রকাশের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। বলেছেন আমি সকল প্রকাশককে মুদ্রণ প্রকাশনার পাশাপাশি ডিজিটাল প্রকাশ হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। প্রধানমন্ত্রীর প্রান্ডুল সুন্দর বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই। সভ্য ও শিক্ষিত সমাজে বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্বে সর্বত্রই চলছে প্রতিযোগিতা আর এ প্রতিযোগিতার টিকে থাকতে না পারলে জীবনে হবে সম্পূর্ণ নিরানন্দময় ও অর্থহীন। এ প্রতিযোগিতা পূর্ণ বিশ্বের মানুষকে অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে হয়। আর জানার সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে বেশি বেশি বই পড়া। বই বিপুল জ্ঞানের ভান্ডার। প্রাজ্ঞ ব্যক্তিদের সাধনার ফল বিধৃত আছে বইয়ে। নানা কালের মানুষ তাদের বিচিত অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানোপলব্ধি অনাকালের মানুষের আনন্দ জোগানোর জন্য লিপিবদ্ধ করে যান বইয়ে। বিশ্বে মহামূল গ্রন্থগুলো মানুষের জ্ঞান, বিজ্ঞান, শিল্প সাহিত্য সাধনার নিরব সাক্ষী। অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যতের জ্ঞান–বিজ্ঞানের মধ্যে সেতু বন্ধন রচিত হয়েছে উৎকৃষ্ট বইগুলোর মাধ্যমে। যে সমাজের মানুষের বই পড়ার অভ্যাস আছে সেই সমাজ সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল। চীনা প্রবাদে আছে যে ব্যক্তি পর পর তিনদিন বই পাঠ থেকে বিরত থাকে সে তার কথা বলার সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে। একটি সভ্য, সহনশীল মানবিক সমাজ গঠনে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই।
এম. এ. গফুর
বলুয়ার দীঘির দক্ষিণ–পশ্চিম পাড়, কোরবানীগঞ্জ, চট্টগ্রাম।