চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম একটি বিদ্যাপীঠ। প্রতি বছর লাখো শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে যেমন উচ্ছ্বাস দেখা যায়, ভর্তির কিছুদিন পরেই তাদের হতাশাগ্রস্ত দিনযাপন করতে দেখা যায়। এর অন্যতম একটি কারণ হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর খাবারের মান। হলের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই এই ডাইনিংয়ের খাবারের ওপর নির্ভর করেন। আবাসিক হলে যারা থাকে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা শিক্ষার্থী। দিনশেষে একটু কম টাকার জন্য হলের এই অপুষ্টিকর, নিম্নমানের খাবারের উপরই নির্ভর করতে হয় তাদের। যেই খাবারে নেই পুষ্টিমানের কোনো চিন্তা। বরং কীভাবে আরো কম দামি খাবার দেওয়া যায় সেটাই চিন্তা করছেন হল ম্যানেজাররা। তাদের কথা খাইলে খান না খাইলে যান। প্রতিবছর হলগুলোতে যে পরিমাণ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় তার তুলনায় খাবারের মান অত্যন্ত নাজুক। হলের রান্নাঘরেও নেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কোনো ছাপ। এই অপুষ্টিকর খাবার খেয়ে নানা রকম অসুখ নিয়ে মেডিকেলে যাচ্ছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে হল প্রভোস্টের শরণাপন্ন হয়েও মিলছে না কোনো সুরাহা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অনতিবিলম্বে হলের খাবার মান বৃদ্ধির জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
মো. জাহিদুল হক
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।