নিজেদের মাঠে হাসিমুখে যখন অনূর্ধ্ব–১৬ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের চট্টগ্রাম ভেন্যুর খেলা উদ্বোধন করছিলেন চট্টগ্রামের কর্মকর্তারা তখন নোয়াখালীর মাঠে তাদের দল হারের মুখে। শেষ পর্যন্ত লক্ষীপুরের মত জেলার কাছে হেরে গেছে চট্টগ্রাম জেলা দল। নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামকে ১ উইকেটে হারিয়েছে লক্ষীপুর জেলা দল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম জেলা দল করেছিল ৪৩.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করে আরশাদুল। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান আসে অতিরিক্ত থেকে। দলের ব্যাটারদের মধ্যে ইমরান হাসান ২৬, মোহাম্মদ সোহেল ২২, মিনহাজুল ১৪, আফনান করে ১২ রান। জবাবে ব্যাট করতে নামা লক্ষীপুর জেলা দল এক পর্যায়ে ১০৬ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে। নবম উইকেটে ৩০ রান যোগ করে। শেষ পর্যন্ত আর উইকেট ফেলতে পারেনি চট্টগ্রামের বোলাররা। ৪৪.৪ ওভারে এক উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে লক্ষীপুর। দলের পক্ষে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকে মিরাজ। ২৬ রান করে ফোরকান। চট্টগ্রামের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেয় ওয়াহিদ মুরাদ এবং ইমরান হাসান।
দলের এমন পরাজয়ে দল পরিচালনার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ১০৬ রানে ৮ উইকেট ফেলে দেওয়ার পরও ম্যাচ জিততে না পারাটা দলের কোচ ম্যানেজারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রামকে পরের দুটি ম্যাচ খেলতে হবে রাঙ্গামাটি এবং শক্তিশালী কুমিল্লা জেলা দলের বিপক্ষে। এমন হারের পর পরের দুই ম্যাচে কতটা ফিরতে পারবে চট্টগ্রাম সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। এর আগে কুমিল্লার কাছে হেরে অনূর্ধ্ব–১৮ ক্রিকেট থেকেও বিদায় নিয়েছিল চট্টগ্রাম। অথচ কদিন আগে অনূর্ধ্ব–১৪ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চট্টগ্রাম। তাছাড়াও কিছুদিন আগে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে ফেনী জেলা দলের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল চট্টগ্রাম জেলা দল। চট্টগ্রামের কর্মকর্তাদের চারদিক থেকে উন্নতি হলেও খেলাধুলায় যে ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে তার জ্বলন্ত উদাহরন এইসব ফলাফল। অথচ নানা খেলাধুলা আয়োজনে তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন চট্টগ্রামের কর্মকর্তারা। অন্য জেলাগুলো যেখানে দ্রুতই এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে চট্টগ্রাম যেন থেমে আছে এক জায়গায়। কখনো কখনো ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। কে জানে কবে আবার এগুবে।