হরহামেশা বাইরে গেলেই দেখা মিলে যেখানে সেখানে ধূমপানের। এই ধূমপান থেকে শুধুমাত্র ধূমপায়ীই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, বরং পরোক্ষভাবে তা পাশের জনেরও ক্ষতির কারণ। পরোক্ষ ধূমপানের সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীরা। প্রকাশ্যে ধূমপান করলে দেশে রয়েছে জরিমানার বিধান। ২০০৫ সালে প্রণীত আইন অনুযায়ী, প্রকাশ্যে ধূমপানের জরিমানা ধরা হয়েছিল ৫০ টাকা। পরে ২০১৩ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনের সংশোধনী এনে জনসমাগমস্থলে ধূমপানের শাস্তির অর্থ ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়। তবে আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় ও আইন না জানায় প্রকাশ্যে ও জনসমাগমস্থলে ধূমপান এখন স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। স্টেশন, লঞ্চঘাট, গণপরিবহন, পার্ক, সরকারি–বেসরকারি কার্যালয়, গ্রন্থাগার, রেস্তোরাঁ, বিপণিকেন্দ্র, গণ শৌচাগারসহ বিভিন্ন জনসমাগমস্থলে নানা বয়সীদের ধূমপান করতে দেখা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে– পরোক্ষ ধূমপানের কারণে পৃথিবীতে বছরে ১২ লাখ মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করেন। এখন সময় এসেছে জনসম্মুখে এভাবে ধূমপান বন্ধ করা। যাতে ধূমপায়ীর কারণে অন্য কোনো অধূমপায়ী মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে না পড়ে। নিজেকে সতর্ক হতে হবে, বিদ্যমান আইন সম্পর্কে সচেতন করতে হবে পাশের জনকে। আসুন জনসমাগমে ধূমপান প্রতিরোধ করতে নিজের অবস্থান থেকে সোচ্চার হই।