এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ শিক্ষার্থী।
কোভিড মহামারীর পর প্রথমবারের মতো পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গত বছরের এইচএসসি পরীক্ষা কোভিড মহামারী আর বন্যার কারণে বিলম্বিত হয়েছিল।
সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হওয়া সেই পরীক্ষায় ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। এই হিসাবে ২০২৩ সালের পরীক্ষায় পাসের হার কমেছে ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ পয়েন্ট।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আজ রবিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলের সারসংক্ষেপ সরকারপ্রধানের হাতে তুলে দেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাউস চেপে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।
বেলা ২টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে এবারের ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ফল জানতে পারছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বরাবরের মত এসএমএসের মাধ্যমেও ফলাফল জানা যাচ্ছে।
২০২০ সালে দেশে মহামারীর প্রকোপে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া যায়নি।
জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তাদের মূল্যায়ন ফল প্রকাশ করা হয়। তাতে ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন শিক্ষার্থীর সবাই পাস করে, জিপিএ-৫ পান এক লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন।
২০২১ সালের পরীক্ষা শুরুই হয় ডিসেম্বরে, যেখানে মহামারীর আগে স্বাভাবিক সময়ে এপ্রিলে এ পরীক্ষা হত নিয়মিতভাবে। বিশেষ পরিস্থিতিতে সেবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে ছয়টি পত্রে এইচএসসি পরীক্ষা হয়। সময় কমিয়ে আনা হয় দেড় ঘণ্টায়।
২০২২ সালের পরীক্ষা এগিয়ে আনার পরিকল্পনা থাকলেও বন্যার কারণে তা আবার পিছিয়ে শুরু হয় ৬ নভেম্বর থেকে। নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১ লাখ ৭৭ হাজার ৩৮৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়। পরীক্ষা নেওয়া হয় বিষয়, নম্বর ও সময় কমিয়ে। ফল প্রকাশ করা হয় ২০২৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি।
তিন বছর পর ২০২৩ সালে এসে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা দেন শিক্ষার্থীরা। কেবল তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে পরীক্ষা হয় ৭৫ নম্বরে। তবে এবারও বাগড়া দিয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
এমনিতে প্রতিবছর সব বোর্ডের পরীক্ষা একসঙ্গে হলেও এবার প্রবল বৃষ্টি আর ঢলের কারণে তিন বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় দেরিতে। তবে ফল প্রকাশ করা হল একসঙ্গেই।
আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয় ১৭ আগস্ট, শেষ হয় ২৫ সেপ্টেম্বর। আর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা ১০ দিন পিছিয়ে ২৭ আগস্ট শুরু হয়।