নতুন শিক্ষাক্রম হবে : প্রতিযোগিতা নয় শিক্ষা হবে সহযোগিতায়

মিতা দাশ | রবিবার , ২৬ নভেম্বর, ২০২৩ at ৬:২৪ পূর্বাহ্ণ

২০২৪ সালে শুরু হচ্ছে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান। এতে নবম শ্রেণিতে থাকছে না কোন বিভাগ।

পড়াশোনায় আসছে বেশ পরিবর্তন। সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও আনন্দদায়ক পাঠের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিখবে বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে এটাই এখন লক্ষ্য। এই অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে অর্জিত হবে তাদের যোগ্যতা।

মূল্যায়ন শুরু হবে শিখন কালীন সময় থেকে। এভাবে একজন শিক্ষার্থী ধাপে ধাপে এগিয়ে যাবে পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্যে দিয়ে। দলীয় কাজেও পারদর্শিতা লাভ করবে।

শেখার বিষয় দশটি হলেও শিক্ষার্থীরা হাতে কলমে কাজ শিখে এগিয়ে চলবে ক্রমাগত। জীবন যেমন নিত্য নতুনের পথে এগিয়ে চলেছে তেমনি আমাদের দেশও শিক্ষায় এগিয়ে চলছে অগ্রগতির দিকে।

যেসব অভিভাবকমণ্ডলি এখনো বুঝতে পারছেন না,তারা আসলে নিজেরাও বইগুলো একটু খুলেও দেখেননি। উনারা বাচ্চাকে প্রাইভেট পড়াতে দিয়ে নিজে বেশ নিশ্চিন্ত থাকতেই অভ্যস্ত। এখন যেহেতু কোন প্রাইভেট পড়তে হয় না,তখন উনারা বেশ চিন্তায় পড়েছেন তাহলে পড়া কি হবে? বাচ্চাদের সাথে বাবা মা বেশিক্ষণ পড়ার টেবিলে থাকেন না। জানেন না কোন বই কেমন দেখতে? কোন বইয়ে কতটা পাঠ বা অধ্যায় আছে? কোন অধ্যায়ের নাম কি কি সেটা পর্যন্ত কখনো জানতে চান নি বাচ্চার কাছ থেকে। নিজে না জেনেই সবার সাথে তাল মিলিয়ে চিৎকার শুরু করে দিয়েছেন। আসুন আমরা ভালো করে পড়ে দেখি, বাইরের দোশের মতো সুশৃঙ্খল জীবন গঠনে, সুশিক্ষিত হয়ে গড়ে উঠতে ও আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে শেখায় বাচ্চাদের। জাপানের দিকে তাকিয়ে দেখি ওরা স্বাবলম্বী?

আমাদের দেশের প্রতিটি নাগরিককেও আমরা স্বাবলম্বী করে তুলি? সরকার এত চেষ্টা করছে, আসুন উনাদের সাথে সাথে আমরা অভিভাবকমন্ডলি, শিক্ষকগণ, জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীরা সকলে একসাথে মিলে একটা সুন্দর শিক্ষিত দেশ উপহার দিই। পুরাতন শিক্ষাক্রম ও নতুন শিক্ষাক্রম এর পার্থক্য দেখি। পুরাতন শিক্ষাক্রমনতুন শিক্ষাক্রম মুখস্থ করে শেখাহাতে কলমে শেখা শিক্ষক কেন্দ্রিকশিক্ষার্থী কেন্দ্রিক পীড়াদায়ক শিখন পদ্ধতিআনন্দময় শিখন। পদ্ধতি যোগ্যতা ভিত্তিক নয়যোগ্যতা ভিত্তিক সফট স্কিলস সীমিতঅবারিত সফট স্কিলস। অর্জন ব্যক্তিকেন্দ্রিক শিখনদলবদ্ধভাবে শিখন সহজলভ্য শিক্ষা উপকরণ ঘাটতিসহজলভ্য। উপকরণ পরীক্ষা ভীতিপরীক্ষা ভীতি নাই পরীক্ষা নির্ভর মূল্যায়নধারাবাহিক মূল্যায়ন ঔপনিবেশিক শিক্ষারূপান্তরিত শিক্ষা ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তানিশ্চয়তা মোকাবেলায় অপ্রস্তুত শিক্ষার্থী মোকাবেলায়। প্রস্তুত শিক্ষার্থী কোচিং, গাইড, নোটবই কোচিং, গাইড নির্ভরতা নোটবই নির্ভরতা নেই শিক্ষা ব্যয় বেশিশিক্ষা ব্যয় হ্রাস পাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত কর্মসংস্থানের। সুযোগ বেশি প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে গেছেবৈশ্বিক অপরিহার্য। এইভাবেই আসতে আসতে সকলে এগিয়ে আসবে, পুরাতনকে ফেলে নতুনের দিকে যাওয়া। নিজে বদলে গেলেই বদলে যাবে পৃথিবী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপৃথিবীটা আজ বড়ই অশান্ত
পরবর্তী নিবন্ধদেশ হতে দেশান্তরে