হঠাৎ করে চালের দাম বৃদ্ধি সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করেছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ করেন মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক সুজন।
এসময় তিনি বলেন, হঠাৎ করে খুচরা বাজারে মোটা এবং চিকন চালের দাম প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। যার ফলে অতিরিক্ত ব্যয় মেটাতে গিয়ে সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। চালের দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে যে পাইকারি বিক্রেতারা সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন এবং দাম বৃদ্ধির জন্য পরিবহন খরচকে দায়ী করছেন। আবার ধান ও চাল মজুদ করে মিলাররা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ পাইকারদের। অন্যদিকে মিলারদের অভিযোগ বড় ব্যবসায়ী এবং পাইকারি বিক্রেতারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে চালের দাম বৃদ্ধি করছে। এভাবে দোষারোপের সংস্কৃতিতে পড়ে সাধারণ মানুষের জনজীবনে অস্বস্তি বিরাজ করছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় সরকার গত মাসে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার পরও বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। সুতরাং আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি বর্তমান সরকার বিভিন্ন উপায়ে চালের দামসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর উদ্যোগ গ্রহণ করলেও কতিপয় লোভী সিন্ডিকেটের কারণে জনগণ এসব সুফলগুলো প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমনকি কৃত্রিম সংকটের মাধ্যমে হঠাৎ করে চালের দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে বলেও মনে করেন তিনি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।