জালালাবাদ ওয়ার্ড নগরীর পাহাড় অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। সেই ওয়ার্ডের চন্দ্রনগর আবাসিক এলাকার পাশে চৌধুরী নগরে পুলিশ বিটের পাশে পাহাড় কাটা হচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরে এখানে পাহাড় কাটা হচ্ছে। একের পর এক পাহাড় কেটে তৈরি করা হচ্ছে রাস্তা, আবাসিক প্লট। পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে ধর্ণা দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না পাহাড় কাটা। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, এসব কী হচ্ছে?
চৌধুরী নগরে স্থানীয় পুলিশ বিটের পাশে জনৈক আইনজীবী রাতে–দিনে পাহাড় কাটছেন। সরকারি মালিকানাধীন পাহাড় কেটে রাস্তা ও আবাসিক প্লট করা হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বেশ কয়েকজন শ্রমিক পাহাড় কাটছেন। তারা একজন আইনজীবীর নাম উল্লেখ করে বলেন, তিনি আমাদের নিয়োগ দিয়েছেন। এই পাহাড়ের মালিক ওই আইনজীবী বলে তারা দাবি করেন।
তবে স্থানীয়রা বলছেন, পাহাড়টির মালিক সরকার। এটি কেটে ফেলা হচ্ছে। স্থানীয় পাহাড়খেকো একটি চক্রকে ম্যানেজ করে পাহাড় কাটা হচ্ছে। পুলিশ বিটের পুলিশ বিষয়টি দেখলেও পাহাড় কাটা ঠেকানোর ব্যপারে তাদের কোনো ভূমিকা দেখা যায় না বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
শুধু এই পাহাড়টি নয়, জালালাবাদের চন্দ্রনগরের কিশোয়ান ফ্যাক্টরির পেছনে নাগনাগিনী পাহাড়ও কাটা হচ্ছে। স্থানীয় এক বিএনপি নেতা এই পাহাড় কাটাচ্ছেন বলে স্থানীয়রা জানান। পাহাড় কাটার ব্যাপারে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো সাড়া পায়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে গতকাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। অপর একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা অভিযোগ পেলে অভিযান পরিচালনা করি। মামলা করি। জরিমানাও করি। কিন্তু এর থেকে বেশি কিছু করার সুযোগ আমাদের নেই। বিষয়টি পুলিশকে জানানোর জন্য পরামর্শ দেন তিনি।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, পাহাড় কাটার ব্যাপারে কোনো অভিযোগ থানায় আসেনি।
সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে গত ত্রিশ বছরে ৮০টি পাহাড় কেটে ফেলা হয়েছে। এর বাইরে অনেক পাহাড় আংশিক বা বেশিরভাগ অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। নানা উদ্যোগের মাঝেও পাহাড় কাটা থেমে নেই। পাহাড় কাটায় জড়িতরা প্রভাবশালী। এছাড়া পাহাড় কাটতে তারা নানা কৌশলের আশ্রয় নেয়।