মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের নায়ক জেনারেল মিন অং হ্লাই রাশিয়ার নৌবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। দেশ দুটি প্রথমবারের মতো সামুদ্রিক মহড়ার আয়োজন করেছে। মিয়ানমারের আন্দামান উপকূলে মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র গ্লোবাল নিউ লাইট প্রথম পাতায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মস্কোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের নাবিকদের সেল্যুট জানাচ্ছেন জেনারেল মিন। সংবাদপত্রটি বলছে, জেনারেল মিন অং হ্লাইকে অ্যান্টিসাবমেরিন ডেস্ট্রয়ার জাহাজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে রাশিয়ান নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নিকোলাই ইভমেনভ জাহাজের ক্ষমতা এবং অস্ত্র ব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা দেন। তাকে অ্যান্টিসাবমেরিন হেলিকপ্টার সম্পর্কেও ব্রিফ করা হয়েছিল। খবর বাংলানিউজের। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার ও রাশিয়া আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ২০০ বেসামরিক নিহত হয়েছেন এবং হাজারো বাসিন্দা ঘরবাড়ি ছেড়ে গেছেন। অন্যদিকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার পর থেকে একঘরে হয়ে পড়েছে রাশিয়া। দেশটি মিয়ানমারের প্রধান অস্ত্র–সরঞ্জাম সরবরাহকারী হয়ে ওঠেছে। প্রথম মিয়ানমার–রাশিয়া মেরিটাইম সিকিউরিটি এক্সারসাইজে জাহাজ ও যুদ্ধবিমান অংশ নিচ্ছে। ৭ থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত এটি চলবে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই মহড়ায় আকাশ, সাগর ও সাগরতলের বিপদ প্রতিরোধ এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা পদক্ষেপের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা তাস বলছে, তাদের জাহাজগুলো মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। অ্যাডমিরাল পান্তেলিয়েভ নামে আরেকটি অ্যান্টিসাবমেরিন জাহাজ থাকছে।