পুলিশ হেফাজতে সাবেক দুদক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ মারা যাওয়ার ঘটনায় ভুয়া বাদী সাজিয়ে মামলা দায়ের, সমন গায়েব করে ওয়ারেন্ট তামিল ও ঘুষের মাধ্যমে জাল জালিয়াতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে চট্টগ্রাম পেশকার হারুনুর রশীদসহ নয়জনের বিরুদ্ধে দুদক আইনে মামলা নেয়নি কোতোয়ালী থানা।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) নিহত শহিদুল্লাহর বড় ছেলে আসিফ শহীদ মামলাটি করতে গেলে মামলাটি নাকচ করে দেয় কোতোয়ালী থানা।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানা অফিসার ইনচার্জ জাহেদুল কবির দৈনিক আজাদীকে বলেন, একই ঘটনায় দুইটা মামলা হয়? এই ঘটনা নিয়ে পেশকার ও ওসি রিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। আমরা সেটা তাদেরকে সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছি। আপাতত আমরা মামলা নি নাই।
এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে আসিফ শহীদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, ঘুষের মাধ্যমে জাল জালিয়াতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে পেশাকার চান্দগাঁও থানার ওসি, পরিদর্শক, এএসআইসহ চক্রের সাথে জড়িত নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু থানা মামলাটি নেয়নি।
থানা বলেছে এই মামলা আগে হয়েছে। কিন্তু আমি বুঝাতে চাইলাম আগেরটি পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ মামলা। আমাদের মামলাটি কেন নেয়নি সেটা বুঝতে পারলামসা। আদতে আমরা চূড়ান্ত বিচার পাব কিনা সেটা নিয়ে আমরা চিন্তিত।
বাদীর আইনজীবী মিনার দৈনিক আজাদীকে বলেন, আগে যেহেতু দুইটা মামলা হয়েছে একটা ম্যাজিস্ট্রেট বাদী হয়ে করেছে। আরেকটি মহানগর কোর্টে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। কিন্তু সমন জাল জালিয়াতি ঘুষ লেনদেনের বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি। এ বিষয়ে আমরা করতে চাইছি। সেটা থানা নন এফায়ার বা জিডি হিসাবে নিতে পারতো। যেটা গেজেটের মধ্যে আছে।
এরকম যদি কোন ব্যক্তি অভিযোগ আনে সেটি জিডি হিসাবে নেওয়া যায়। জিডি হিসাবে নেওয়ার পর তদন্ত উনারা না করলেও অন্য কোন প্রতিষ্ঠানকে দুদককে দিতে পারে। এরমক একটি গেজেট আছে ২০১৯ সালের। আমরা গেজেট আলোকে মামলাটি করতে চাইছিলাম। কিন্তু থানা মামলাটি নেয়নি।