তথ্য ও সমপ্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, রাঙ্গুনিয়া একটি শান্তির জনপদ। এখানে কেউ কখনো অশান্তি সৃষ্টি করতে পারেনি। কেউ অপচেষ্টা চালালেও সাথে সাথে দমন করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, একটি পরিবার রাঙ্গুনিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে শাসন করে আসছিল। তারা নির্বাচন আসলে সনাতন সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালাতো। তাদের অনুসারীরা, তাদের পেতাত্মারা এখনো রাঙ্গুনিয়ায় আছে। তারা নির্বাচন আসলে সরব হয়। সুতরাং তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। রাঙ্গুনিয়ায় শান্তি সম্প্রীতি যাতে বিনষ্ট করতে না পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখবেন। আপনারা বুক ফুলিয়ে হাঁটবেন। এই দেশ আপনাদের, এই মাটি আপনাদের। কেউ শান্তি বিনষ্টের চেষ্টা চালালে আমরা সবাই মিলে প্রতিহত করবো।
গতকাল শনিবার দুপুরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বি–বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমাদের দেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায় মিলেমিশে একাকার। সব সম্প্রদায়ের মানুষের মিলিত রক্তের স্রোতে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, সামনে নির্বাচন, আমি আপনাদের কাছে এইটুকু নিবেদন করবো। গত ১৫ বছরে অমানুষিক কষ্ট করে এলাকায় সময় দিয়েছি। ১৫ বছর আগের কথা মনে করি। কী পরিমান এলাকায় উন্নয়ন হয়েছে। এই কথাটি দয়া করে সাধারণ মানুষকে বলবেন। সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ উপজেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট পঙ্কজ চৌধুরী। অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুগ্রীব মজুমদার দোলন। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সাধারণ সম্পাদক সুপায়ন সুশীলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) খান নুরুল ইসলাম, উত্তর জেলা আ. লীগ সদস্য আকতার হোসেন খাঁন, উপজেলা আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহিম, জেলা পূজা পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিত পালিত, সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন রিমন মুহুরী, শৈবাল চক্রবর্ত্তী, সুকোমল বিকাশ শীল, অজিত শীল প্রমুখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শৈবাল চক্রবর্ত্তী ও সুপায়ন সুশীলকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।