চট্টগ্রামের রাউজানে কলেজছাত্র শিবলী সাদিকে (১৯) অপহরণের পর জবাই করে হত্যার ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
তারা হল- উচিংথোয়াই মারমা (২৩) ও তার সহযোগী ক্যাসাই অং মারমা (৩৬)। এদের মধ্যে উচিংথোয়াই মারমা কলেজছাত্র শিবলীকে জবাই করেছে বলে জানায় র্যাব। আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে নগরের চান্দগাঁও র্যাব-৭ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানান র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম।
এর আগে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানাধীন নতুনব্রিজ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরও জানান, রাউজানে কলেজছাত্র খুনের ঘটনায় জড়িত দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে জবাইকারীও রয়েছে।
ভুক্তভোগী শিবলী সাদিক রাউজানের কদলপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি এলাকার একটি মুরগির খামার দেখাশোনা করতেন। সেই খামারে কাজ করা কয়েকজনের মধ্যে বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ২৮ আগস্ট শিবলী সাদিককে অপহরণ করা হয়।
এ ঘটনার দু’দিন পর অপহরণকারীরা হৃদয়ের পরিবারের কাছে ফোন করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিবারের সদস্যরা ২ লাখ টাকা দিতে রাজি হয়। কয়েকদিন পর অপহৃত শিবলীর বাবা শফি বান্দরবান এলাকায় ডুলাপাড়ায় গিয়ে দু’জনের হাতে দুই লাখ টাকা তুলে দেন। কিন্তু তারা শিবলীকে মুক্তি দেয়নি। এরপর ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে রাউজান থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর ১০ সেপ্টেম্বর চান্দগাঁও থানা এলাকা থেকে শিবলীকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সুইচিংমং মারমা (২৪), অংথুইমং মারমা (২৫) ও উমংচিং মারমাকে (২৬) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে পরদিন (১১ সেপ্টেম্বর) উমংচিং মারমাকে নিয়ে ভুক্তভোগীর মরদেহ উদ্ধার করতে যায় পুলিশ। এদিন কদলপুর-রাঙ্গুনিয়া সীমান্তবর্তী দলুছড়ি পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে অপহৃত যুবক হৃদয়ের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সেখান থেকে ফেরার পথে পঞ্চপাড়া গ্রামে কয়েকশ মানুষ জড়ো হয়ে পুলিশের গাড়ি আটকে দেয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা গাড়ি থেকে আসামি উমংচিং মারমাকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে। পরে পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে হত্যার ঘটনায় এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করা হয়।