চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আইন অনুষদের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো আয়োজিত জাতীয় আইন সম্মেলন শেষ হয়েছে। গতকাল রোববার সমাপনী পর্বের মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের পর্দা নামলো।
এর আগে গত শনিবার সকাল ১০টায় ‘পরিবর্তনশীল বিশ্বে আইন’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত সম্মেলনে দেশি–বিদেশি প্রায় ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগণ ৭০টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এছাড়া ৩০ জন আইনজ্ঞ প্যানেল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। চবি আইন বিভাগের প্রফেসর ড. রকিবা নবীর সঞ্চালনায় জাতীয় আইন সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি বোরহান উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি আইন বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শাহীন চৌধুরী এবং মুখ্য আলোচক ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া। আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে ছিলেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন চবি উপ–উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে এবং সিনিয়র জেলা ও সেশন জজ ড. আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট ড. শরীফ ভূঁইয়া বলেন, মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে একধরনের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হয়। বিভিন্ন ধরনের আইন সেই শৃঙ্খলা মেনে চলতে সাহায্য করে থাকে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মানবজীবনে বাহ্যিক পরিবর্তন করে না বরং মানব সমাজের সামগ্রিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে। সারা বিশ্বে আইনের শাসনে পরিবর্তন এসেছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আইনের শাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আইনের শাসন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সমাজে গণতন্ত্রের চর্চা অনিবার্য।
চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমি আশা করি দেশ ও জাতি এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য আজকের এ আইন সম্মেলন ভূমিকা রাখবে।