জেগে উঠুন, সরকারকে পরাজিত করুন ফখরুল

| সোমবার , ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৭:৫৬ পূর্বাহ্ণ

ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার পতনের এক দফা দাবিতে উত্তরাঞ্চলের দুই বিভাগে তারুণ্যের রোড মার্চ করেছে বিএনপির তিন সংগঠন। দ্বিতীয় দিন বগুড়া থেকে শুরু করে রোড মার্চটি রাজশাহীতে গিয়ে শেষ হয়। প্রায় ১২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ পথে চারটি পথসভাসহ ছয়টি স্থানে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বক্তব্যে তারা সরকারের পতন ঘটিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়া না পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা দেন। খবর বাংলানিউজের।

দ্বিতীয় দিন গতকাল দুপুরে বগুড়ায় এরুলিয়া থেকে রোডমার্চ শুরু করে বিএনপির সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদল। দুদিনের রোডমার্চ শেষে রাজশাহী শহরে সমাপনী সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আজ অস্তিত্বের প্রশ্ন, স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব টিকে থাকবে কিনা, সেই প্রশ্ন, গণতন্ত্র ফিরে আসবে কিনা, সেই প্রশ্ন। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আদালত, সংসদ সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। এটি করতে গিয়ে তারা গণতন্ত্রকামী মানুষকে খুন, গুম করেছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে রেখেছে। খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না।

ফখরুল বলেন, মানুষ জেগে উঠেছে, রাজপথে নেমেছে। আমরা রাজপথে এই সরকারের পতন ঘটিয়েই ঘরে ফিরব। আওয়ামী লীগ আবারও নির্বাচন নিয়ে পাতানো খেলা খেলতে চায়। আমরা নির্বাচন নিয়ে পাতানো খেলা খেলতে দেব না।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আসুন, আজ আমরা রুখে দাঁড়াই। এই সরকারকে মানুষ না বলে দিয়েছে। জেগে উঠুন, সরকারকে পরাজিত করুন।

সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু বলেন, হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে তালি দিয়েছে, সাহস দিয়েছে। উৎসাহ দিয়েছে। আন্দোলন সফলতার দ্বারপ্রান্তে। ভোট চোরদের ধরতে মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে কোনো রেজিম ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। রক্ত দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমাদের নেতা। তফসিল ঘোষণা করে কোনো লাভ নেই। ভোটের বাক্স গুদামেই পড়ে থাকবে। এদিকসেদিক যাবে না। খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে যারা ঠেলে দিচ্ছে, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে খসরু বলেন, বিশ্বনেতাদের পেছনে তারা ঘুরঘুর করছে, সেলফি তুলছে। কোনো লাভ হবে না। তাদের দেশেও কেউ নেই, দেশের বাইরেও কেউ নেই। তাদের একমাত্র ভরসার জায়গা হচ্ছে পুলিশ। শুধু সরকারের পতন ঘটালেই হবে না, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত রাস্তা থাকব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিপন্ন বনরুই কালোবাজারে দাম ২ লাখ টাকা
পরবর্তী নিবন্ধড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের ভূমি সেবা মনিটরিং করা হচ্ছে : ভূমিমন্ত্রী