চট্টগ্রাম নগরীর ঐতিহ্যবাহী কলেজ চট্টগ্রাম কলেজ। এটি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেও জায়গা করে নিয়েছে। ১৮৬৯ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রায় দেড়‘শ বছর ধরে শিক্ষার ইতিহাসে নাম টিকিয়ে রেখেছে। এছাড়াও মানসম্মত পাঠদানের পাশাপাশি সুশৃঙ্খল ও সুবিন্যস্ত ভবন, উঁচু–নিচুপথ ও গাছপালায় ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশে পরিবেষ্টিত ক্যাম্পাসের অতুলনীয় সৌন্দর্য প্রশংসা পাওয়ার দাবিদার। কলেজের অন্যান্য বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত দিকগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম আকর্ষণ হলো চট্টগ্রাম কলেজের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে রয়েছে প্রত্যেক বিভাগভিত্তিক বই ও পাঠ্যবইয়েরর বহির্ভূত বিভিন্ন জ্ঞানী–গুণীদের লেখা বইয়ের সমাহার। শিক্ষার্থীরা নিরিবিলি পরিবেশে লাইব্রেরিতে পড়তে স্বাচ্ছন্দবোধ করে বলেই লাইব্রেরিতে বাড়ছে বই পড়ুয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা। তবে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়ে তখন–ই যখন পড়ার জন্য লাইব্রেরিতে গিয়ে দেখে কোনো আসন ফাঁকা থাকে না। কারণ শিক্ষার্থীর সংখ্যার অনুপাতে চেয়ার ও ডেস্ক টেবিলের সংখ্যা সীমিত এবং লাইব্রেরির পরিধি সংকীর্ণ। সম্প্রতি লাইব্রেরির অবকাঠামোগত কিছুটা সংস্কার করা হলেও বর্ধিত করা হয়নি লাইব্রেরির পরিসর। অথচ কলেজে ইন্টারের শিক্ষার্থীর পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়ন করছে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। ফলে লাইব্রেরিতে পড়ার মতো পরিস্থিতি না থাকায় শিক্ষার্থীরা ভুগছে হতাশায়। এমতাবস্থায় পড়ার অনুকূল পরিবেশ এবং চাহিদা বিবেচনা করে লাইব্রেরির পরিধিকে সম্প্রসারিত করা সময়ের দাবি। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো পদক্ষেপ না থাকায় শিক্ষার্থী হিসেবে হতাশ হতে হয়। কলেজ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
হুমাইরা খানম জেরীন
অনার্স ১ম বর্ষ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ,
চট্টগ্রাম কলেজ।