ঢাকার লালবাগ থেকে ছাত্রদলের ৬ নেতাকে গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, আগামী নির্বাচনে নাশকতা করার জন্য বিএনপি ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে তারা দেশের দুই জেলা থেকে ওই অস্ত্র সংগ্রহ করার কথা বলেছেন।
লালবাগের এক বাসায় অভিযান চালিয়ে শনিবার ওই ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার খোন্দকার নুরুন্নবীর ভাষ্য। গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম হেজিসান (৩১), সহসভাপতি মো. হাসানুর রহমান হাসান (৩২), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আর রিয়াদ (২৯), কেন্দ্রীয় কমিটির সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহাদত হোসেন (৩১), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর (৩২) এবং একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ আরিফ বিল্লাহ (৩০)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে দুটি রিভলবার, একটি পিস্তল ও ৩৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল ঢাকায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা নুরুন্নবী বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পাবনা ও কক্সবাজার থেকে অস্ত্র আনার কথা স্বীকার করেছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে এই সামনের নির্বাচনে নাশকতার জন্য অস্ত্রগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তারা জানিয়েছেন। কোন কোন নেতার নির্দেশে তারা অস্ত্রগুলো সংগ্রহ করেছে, তাদের নাম জানার জন্য গ্রেপ্তার ছয়জনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের হাইকমান্ড এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের হাইকমান্ডের নির্দেশে, ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখাসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখার নেতাকর্মীরা রাজপথে বিএনপির শক্তি বৃদ্ধি করতে চাইছে। এজন্য অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া প্রদর্শনের করে জনমনে ভীতি এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করে বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা করছিল তারা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নুরুন্নবী বলেন, শনিবার রাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের পুরনো মামলায় আদালতে হাজির করা হবে।