দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিন মাসের মধ্যে বুলিং ও র্যাগিং প্রতিরোধে করা চূড়ান্ত নীতিমালা পাঠানো এবং ছয় মাসের মধ্যে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
নীতিমালার নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের পর তা নিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতেও বলা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে রায় ঘোষণা করে। এর আগে একই দিন সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৈরি চূড়ান্ত নীতিমালার গেজেটের অনুলিপি হাই কোর্টে দাখিল করা হয়। খবর বিডিনিউজের।
চূড়ান্ত নীতিমালায় গত ২৯ জুন জারি করা গেজেটে বুলিং–র্যাগিংয়ের অপরাধে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং গভর্নিং বডির সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, বুলিং–র্যাগিংয়ের মাত্রা অনুযায়ী দায়ীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা যাবে।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার পর ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি আদেশ দেয় হাই কোর্ট।
এদিকে ‘বুলিং’ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা দিতে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুলিং রোধে নীতিমালা তৈরি করতে রিট আবেদন করেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ।
একই বিষয় হওয়ায় এ দুটি মামলা এই বেঞ্চে একসঙ্গে শুনানি হয়।