কয়েকদিনের টানা বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড়ধস এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে সড়ক যোগযোগে প্রতিবন্ধকতা। এর মধ্যে বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রশাসন বাঘাইহাট বাজার ও মাচালং সেতুতে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এতেই পানিবন্দি হয়ে আটকা পড়েছে দূর–দূরান্ত থেকে আসা প্রায় ৩ শতাধিক পর্যটক। গতকাল সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রশাসন। এদিকে খাগড়াছড়িতে একাধিক স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে। গতকাল সকালে পৌর শহরের কলাবাগান, শালবন ও সবুজবাগ এলাকায় পাহাড় ধসে প্রায় ২৫ টি বসতবাড়ী বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া দীঘিনালাসহ আরো ৭ উপজেলায় অন্তত আরো ২৫ এর বেশি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে । তবে দিনের বেলায় হওয়ায় জানমালের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সকালে ভারী বর্ষণের কারণে আকস্মিকভাবে পাহাড়ের ধসের এ ঘটনা ঘটেছে।
আমাদের রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, বাঘাইছড়িতে ৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং বর্তমানে অনেক পরিবার সেগুলোতে অবস্থান করছে। বর্তমানে সাজেকে ২০ থেকে ২৫টি গাড়ি আটকে আছে। বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সাজেকে প্রায় ৩শতাধিক পর্যটক আটকে রয়েছেন। বর্তমানে তারা রিসোর্টে অবস্থান করছেন।
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, খাগড়াছড়ির মাইনী নদী পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে নিচু এলাকা। মেরুং ইউনিয়নে বেইলি ব্রীজ ডুবে যাওয়ায়খাগড়াছড়ির সাথে রাঙ্গামাটি লংগদুর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া মাইনী নদীর পানি বেড়ে খাগড়াছড়ি সাজেক সড়কের কবাখালী বাজার এলাকা, লংগদু সড়কের বড় মেরুং, মেরুংবাজার ও দাঙাবাজার এলাকায় পানির নিচে তলিয়ে গেছে সড়কের বিভিন্ন অংশ।