আমেরিকার প্রধান ফুটবল লিগে যেখানে জিততে ভুলে গিয়েছিল ইন্টার মায়ামি একজন মেসির ছোয়ায় এখন হারতে ভুলে গেছে দলটি। ইন্টার মায়ামিতে জাদু দেখিয়েই যাচ্ছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি। আমেরিকান ফুটবলে টানা তিন ম্যাচ করলেন জোড়া গোল। চার ম্যাচ খেলে তার গোলসংখ্যা সাত। এফসি ডালাসের বিপক্ষে লিগস কাপের শেষ ষোলোতে মেসি আবার জাদুকাঠি ঘুরালেন। তাতে প্রতিপক্ষ ঘায়েল। ২–১ এ হাফটাইমে পিছিয়ে ছিল ইন্টার মায়ামি। একসময় ৪–২ গোলে তাদের পেছনে ফেলে ডালাস। পরে তাদের আত্মঘাতী গোলের পর মেসির চোখ ধাঁধানো ফ্রি কিক গোল। ৪–৪ এ সমতা ফিরিয়ে টাইব্রেকারে ৫–৩ গোলে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে মায়ামি।
লিগস কাপের শেষ ষোলোয় প্রথমবারের মত প্রতিপক্ষের মাঠে দেখা গেল মেসির ঝলক। এদিন একসঙ্গে মাঠে নেমেছিল তিন সাবেক বার্সা তারকা মেসি, সার্জিও বুসকেতস এবং জর্দি আলবা। ম্যাচের ৬ মিনিটেই দেখা গেল চিরচেনা সেই মেসি–আলবা রসায়ন। বাঁ প্রান্ত থেকে আলবার পাসে দারুণ এক গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ‘এলএমটেন’। শুরুতেই গোল হজম করে নিজেদের খেলার ধরনই পালটে ফেলে প্রতিপক্ষ এফসি ডালাস। পাঁচজন ডিফেন্ডার নিয়ে পুরোপুরি কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবলে মনোযোগ দেয় তারা। তাতে সফলতাও এসেছে হাতে নাতে। ৩৭ মিনিটে ফাকুন্দো কুইগনন আর ৪৫ মিনিটে বেনার্ড কামুঙ্গোর গোলে ২–১ এর লিড পায় ডালাস। ২–১ ব্যবধানে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে আবারও চাপের মুখে পড়ে মায়ামি। ডালাসের কাউন্টার অ্যাটাক আরও একবার এগিয়ে দেয় তাদের। ৬৩ মিনিটে অ্যালান ভালেস্কোর গোলে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে পড়ে সফরকারীরা। নিশ্চিত পরাজয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ইন্টার মিয়ামি। এ পর্যায়ে যেন আর মেসির ক্যারিশমাও কাজে লাগার কথা নয়। ৬৫তম মিনিটে একটি গোল করে ব্যবধান কমান বেঞ্জাামিন ক্রেমাসচি। কিন্তু এর তিন মিনিট পর আবারও পিছিয়ে পড়ে মিয়ামি। ৬৮তম মিনিটে রবার্ট টেলরের আত্মঘাতি গোলে হতাশার সাগরে ডোবে মেসির দল। ব্যবধান তৈরি হয় ৪–২ । নিশ্চিত পরাজয়। এ মুহূর্তে জ্বলে ওঠেন মেসি। তার অসাধারণ ফুটবল প্রাণ ফেরায় মিয়ামি সমর্থকদের মধ্যে। মেসিকে ঠেকাতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল করলেন মার্কো ফারফান। ব্যবধান তৈরি হলো ৪–৩। ৮৫ মিনিটে করে ফেললেন সমতাসূচক গোল। ম্যাচে দু’দল চলে আসে ৪–৪ গোলের সমতায়। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে মেসির মায়ামি।












