তামিম ইকবালের ইনজুরি যেন এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে রহস্যময় জিনিসগুলোর একটি। বিষয়টি নিয়ে মুখোমুখি হয়ে গেছে বিসিবি ও তামিম ইকবাল। কয়েকদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে ইনজুরি নিয়ে তার সুচিকিৎসা হয়নি বলে জানান টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক। তার ওই কথা সত্যি হয়েছে। দুবাই থেকে এখন লন্ডনে আছেন তামিম। সেখানে তিনি টনি হ্যামন্ড নামে ডাক্তারকে দেখিয়েছেন। ভিডিও কলে বিসিবির চিকিৎসক দলকে হ্যামন্ড জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ওপেনারের ইনজুরি ফোর্থ ও ফিফথ লাম্বার স্পাইন ভার্টিব্রার (এল–ফাইভ) মাঝের ডিস্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তামিমের এই ইনজুরি নিয়ে গুগল করে ধারণা পাওয়া যায়। এ ধরনের রোগীদের সুস্থতার মূল শর্ত বিশ্রাম। এমনকি ওঠা–বসা এবং শয্যাগ্রহণের ক্ষেত্রেও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। অথচ এই ইনজুরি নিয়েই তামিম জিম ও অনুশীলন করেছেন। যদিও ‘এল–ফাইভ’ রোগীদের পাঁচ পাউন্ড ওজন তোলাও বারণ আছে।
দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরাসিংহের পরামর্শে আয়ারল্যান্ড সিরিজ চলাকালে প্রথমে একজন স্পোর্টস অস্টিওপ্যাথ এবং পরে একজন স্পোর্টস ফিজিশিয়ানের কাছে পরামর্শ নিয়েছিলেন তামিম । সে সময় স্ক্যানও করানো হয়েছিল তামিমের কোমরের। ওই স্ক্যানেই ইনজুরি খুঁজে পেয়েছেন ইংল্যান্ডের চিকিৎসক। তবুও তাকে জিম করানো হয়। আর তাতেই তার ইনজুরিটা বেড়ে গেছে। তামিমের ইনজুরির গভীরতা এখন আরও বেড়েছে। ডাক্তার জানিয়েছে তামিমের ইনজুরির এখন যা অবস্থা তাতে বিশ্রাম, চলাফেরায় সতর্কতা আর বেদনানাশক ওষুধে কাজ নাও হতে পারে। এখন ইনজেকশন নিলে তিন মাস ব্যথা ছাড়া থাকতে পারেন তামিম। আর যদি অস্ত্রোপচার করেন তাহলে তিন মাস থাকতে হবে মাঠের বাইরে। সামনে এশিয়া কাপ এরবং এরপর রয়েছে বিশ্বকাপ। কাজেই এই সময়ে তামিম অপারেশনের মত ঝুঁকি নিতে যাবেন কিনা সেটাই ভাববার বিষয়। আবার ইনজুরি পালন করারও কোন সুযোগ নেই। তাই এখন কি ইনজেকশনে যাবেন নাকি অপারেশনে যাবেন সেটা হয়তো তামিমই সিদ্ধান্ত নেবেন।