শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন বন্ধে তরুণ সমাজকে ঝাঁপিয়ে পড়তে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকার এখন রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়েছে গেছে। তারা এখন হিরো আলমেও ভীত। হিরো আলম ভোটকেন্দ্রে গেলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে বের করে দিয়ে মাটিতে ফেলে মারধর করে। এরাই চিৎকার করে বলে গণতন্ত্র নাকি তাদের হাতেই নিরাপদ।
গতকাল সোমবার বিকালে খুলনার ডাকবাংলো মোড়ের সোনালী ব্যাংক চত্বরে আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনে তরুণ প্রজন্মকে জাগ্রত করতে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদল দেশের বিভিন্ন স্থানে এই সমাবেশের আয়োজন করছে। খবর বিডিনিউজের।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠন করতে হবে। লুটেরাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির আন্দোলনই হলো তারুণ্যের সমাবেশ। ঢাকায় সমাবেশ হবে ২২ জুলাই।
ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দেশের মানুষকে দিন কাটাতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, আমরা এই বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি। এই পরিস্থিতি থেকে দেশ ও দেশবাসীকে রক্ষায় তরুণ সমাজকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের ৬০০ নেতাকর্মী গুম হয়েছে। শত–সহস্র নেতাকর্মী কারাগারে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ আবারও সেই পাতানো নির্বাচন করতে চায়। সে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সব ধরনের অনিয়ম চলছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, একটা ব্যাংকেও কিছু নেই, সব শূন্য। পাচার করা টাকা ফেরত আনতে কোনও প্রশ্ন ছাড়াই আড়াই শতাংশ ইনসেনটিভ ঘোষণা করেছে সরকার। আর সারচার্জ নিয়ে নিয়ে তো জনতার পকেট খালি করতে ফেলছে। জুট মিলগুলো বন্ধ। পেট চালাতে মানুষ এখন ধর্মঘট করে। ১০ টাকার চাল দেবে ঘোষণা দিয়েছিল, কিন্তু ৯০ টাকাতেও চাল হয় না। মানুষকে সংগঠিত করে এ অবৈধ সরকারকে হটাতে হবে। তা না হলে দেশই থাকবে না। এ সময় সরকারি চাকরি, স্বাস্থ্য সেবা খাত, মন্ত্রীদের বিদেশ সফরসহ নানা বিষয়ে সমালোচনা করেন তিনি।