নির্মাণের মাত্র দুমাসের মাথায় ধসে পড়েছে আড়াই কোটি টাকায় নির্মিত সন্দ্বীপের গাছুয়া আমির মোহাম্মদ ফেরি ঘাটের সংযোগ সড়ক। জোয়ারের তীব্রতার কারণে প্রায় আড়াই কিলোমিটারের দীর্ঘ এ সড়কের সামনের অংশের গাইডওয়াল ও ভরাট করা মাটি ধসে যায়।
জানা যায়, গাছুয়া ফেরি ঘাটটি সন্দ্বীপ চ্যানেলের ভিতরে অবস্থিত হওয়ায় এখানে ঢেউয়ের তীব্রতা তুলনামূলক কম থাকে। তবে এ বছর জুলাইয়ের শুরুতে সাগর উত্তাল থাকায় এবং জোয়ারের তীব্রতার কারণে এ সড়কের সামনের কিছুটা অংশ ধসে যায়। কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর গত ৪ মে সন্দ্বীপের সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্যান্য প্রতিনিধিরা গাছুয়া আমির মোহাম্মদ ফেরি ঘাটের আড়াই কিলোমিটারের নবনির্মিত সড়কটি পরিদর্শন করেছিলেন। সন্দ্বীপের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা দৈনিক আজাদীকে জানান, এ সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে বর্ষায় এ দিক দিয়ে যাতায়াতের সময় যাত্রীদের ভোগান্তিতে যাতে পড়তে না হয়। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ বরাদ্দ থেকে শুধু মাটি ভরাটের জন্য আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। তবে ঘাট ইজারাদার ও ঠিকাদারের বাইরেও তিনি নিজ থেকে একটা গাইড ওয়াল নির্মাণ করেছিলেন। যদিও সাগরের তীব্র ঢেউয়ের কারণে এটি ভেঙে যায়। তবে ফেরি চলাচলের জন্য যে অবকাঠামো উন্নয়ন করা দরকার সেটির সাথে এ বরাদ্দের কোনো সংযোগ নেই। যদিও ভবিষ্যতে বিআইডব্লিউটিসি যখন ফেরি সার্ভিস চালুর জন্য সংযোগ রাস্তা নির্মাণসহ জেটি নির্মাণ করবে তখন তারা এটিকে ব্যবহার করতে পারবে। এখন যে রাস্তাটা করা হয়েছে তাতে এ ঘাট দিয়ে চলাচল করা যাত্রীরা অনেকখানি সুবিধা পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে প্রতিবছর এটা মাটি ভরাট করে মেরামত করতে হবে। আর মাটিগুলো যখন পুরোপুরি বসে যাবে তখন এটাকে আরসিসি ঢালাই দেয়া হবে।
আসলে ফেরি চলাচলের জন্য যে বড়ধরনের অবকাঠামো উন্নয়ন দরকার, এ রাস্তা নির্মাণের মধ্যে দিয়ে সেটার শুরু বলে জানান ইউএনও। তিনি আশা প্রকাশ করেন–অচিরেই সন্দ্বীপবাসী তাদের স্বপ্নের ফেরির মাধ্যমে যাতায়াতের সুবিধা পাবেন।
তবে ফেরি চলাচলের জন্য যে অবকাঠামো নির্মাণ শুরু হয়েছে সেটির সর্বোচ্চ মান যেন বজায় রেখে কাজ করা হয় তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সে সময় সরব হয়েছিল সন্দ্বীপের সচেতন নাগরিকরা। তারা এ দুর্বল গাইড ওয়াল নির্মাণের সমালোচনা করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। দু মাসের মাথায় তাদের সে আশঙ্কাই সত্যতে রূপান্তরিত হল।