বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া বিএনপির অনেক নেতা ‘তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আপনাদের (বিএনপি) তো নিজের দলে ওপরই নিয়ন্ত্রণ নাই। ১৩৪ জন কাউন্সিলর নির্বাচন করেছে। গাজীপুরে ২৯ জন দাঁড়িয়েছে… ফখরুলের কথায় তাদের প্রার্থীরা সরে দাঁড়ায়নি। ফখরুল সাহেব যতই লাফালাফি করেন, যতই চোখ রাঙান, আপনাদের দলের লোকেরা তলে তলে অনেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিএনপি–জামায়াতের ‘দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের’ বিরুদ্ধে গতকাল রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছিলেন ওবায়দুল কাদের। নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি প্রসঙ্গে কাদের বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিও আসবে। অনেক দল আসবে। দলের অভাব হবে না। বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক, নির্বাচন এদেশে হবেই। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, বিএনপি জানে আগামী নির্বাচনে তাদের হেরে যাওয়ার ভয়। এজন্য তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। টাকা–পয়সা দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করে। এত টাকা তারা কোথায় পায়? কারও ভিসা নীতি, নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের নির্বাচন ঠেকানো যাবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা কারও ওপর হস্তক্ষেপ করি না। আমাদের নির্বাচনে বাইরের কোনো দেশের হস্তক্ষেপ চাই না। নিয়মকানুন মেনে নির্বাচনে যাচ্ছি। নির্বাচনের সময় নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনাই থাকবেন। নির্বাচনের আগে কোনো দেশে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত হয়? বাংলাদেশে কেন হবে? নির্বাচন শেষে পার্লামেন্ট ভাঙবে। আমাদের সংবিধান আছে। সংবিধানে যেভাবে আছে, সেভাবে চলব। কারও পরামর্শে চলব না।
বিদেশিদের উদ্দেশে কাদের বলেন, পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারেন, দেখতে পারেন কেমন নির্বাচন হচ্ছে? নির্বাচনের ওপর দেশের মানুষ আস্থাশীল। সেই নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কথায় বিভ্রান্ত হবেন না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এখন বেসামাল হয়ে পদযাত্রায়। এই পদযাত্রা শেষ পর্যন্ত পতন যাত্রায় রূপ নিবে। বিএনপির আর কোনো পথ নেই। বিএনপি আবারও ‘ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস’ শুরু করেছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এরা ক্ষমতায় থাকতে গণতন্ত্র, আইনের শাসন গিলে খেয়েছে, ভোট চুরি করেছে, পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশকে দুর্নীতিবাজ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এরা আবার ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ সুদ্ধ গিলে খাবে। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতাকে গিলে খাবে। আর নয় হাওয়া ভবন, খালেদা জিয়ার দুঃশাসন, বিএনপির অপরাজনীতি।
কাদের বলেন, বিএনপি নামক অপশক্তি, দুর্নীতিবাজ সন্ত্রাসীদের হাতে বাংলাদেশের দায়িত্ব, নিরাপত্তা, ক্ষমতা আমরা ছেড়ে দিতে পারি না। বিএনপি এখন ‘ফাউল’ শুরু করেছে মন্তব্য করে যারা ভিসা নীতি প্রয়োগ করে, তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে জাতির পিতার ছবি কারা ভাঙচুর করেছে, মহান মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিচিহ্নের ওপর হামলা চালিয়েছে; এরা কারা? এরা বিএনপি। এরা পুরনো সন্ত্রাস, পুরনো হাওয়া ভবন, পুরনো ভোট চুরি। এরা কে? বিএনপি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, লোডশেডিং কমে গেছে। কয়েকদিন পর পুরোপুরি লোডশেডিং চলে যাবে। শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন। দুর্দিন কেটে যাবে।












