ঢাকা–চট্টগ্রাম পুরাতন মহাসড়ক ও বর্তমানে বারইয়ারহাট রামগড় সড়কের করেরহাট পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা গত কয়েক বছর ধরেই। কোথাও গর্ত, কোথাও কংক্রিট এবং ঢালাই সরে পুরো রাস্তা সুরকিটসহ কাদাময়। সামান্য বৃষ্টি এলেই যানবাহন, মালবাহী গাড়ি, মানুষ পারাপারে বিঘ্ন তো হচ্ছেই। অনেক সময় গর্তের জন্য গাড়িগুলোকে সিঙ্গেল লাইনে থেমে থেমে লাইন ধরে যেতে হয়। কখনো একটু এদিক সেদিক হলে বিকলও হয়ে যাচ্ছে যানবাহন। সব মিলিয়ে দুর্ভোগের শেষ নেই পথচারী থেকে শুরু করে গাড়ির চালক–হেল্পারদের। সরেজমিনে ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জানা গেছে, মীরসরাই উপজেলার বারইয়াহাট থেকে করেরহাট অংশটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে রামগড় ও খাগড়াছড়ির কানেকটিং পয়েন্ট, অপরদিকে ছাগলনাইয়া উপজেলার সংযোগ পয়েন্ট। আবার করেরহাট–বারইয়াহাট এলাকা এই উপজেলার কয়েকটি রুটের ট্রানজিট পয়েন্ট। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নানাভাবে এই সড়কটি অবহেলিত। গত কয়েকবছর ধরে লক্ষ্মীছরা ব্রিজের কাজ চলায় দুই কিলোমিটার সড়ক কাদা আর ভাঙাচোরায় একাকার ছিল। বর্তমানে উক্ত ব্রিজের এক কিলোমিটার অংশ প্রশস্ত করা হলেও দুপাশের একদিকে করেরহাট বাজার পর্যন্ত, অপরদিকে বারইয়াহাট বাজার পেরুলে ভাঙা চোরায় মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছেই।
করেরহাট বাজারের ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন বলেন, করেরহাট থেকে বারইয়াহাট বাজারের পথে ভাঙাচোরা অংশে প্রতিদিন অনেক গাড়ির চাকা পাংচার হচ্ছে, কোনো কোনো সময় গাড়ি বিকলও হচ্ছে। এভাবে গত কয়েক বছর ধরেই দুর্ভোগ চলছে। তিনি আরো বলেন, গত বছরও করেরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান জসিম ও নয়ন চেয়ারম্যান ইট ও বালু দিয়ে গর্তগুলো ভরাট করেছেন। এবারও বর্ষা আসার আগেই গর্ত বেড়ে চলেছে। রাস্তাটি ন্যূনতম সংস্কার না করলে দুর্ভোগ বাড়বেই।
স্থানীয় করেরহাট বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম বলেন, বছরের পর বছর ধরে করেরহাট বাজারে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নেই বললেই চলে। তার উপর রাস্তার ভাঙাচোরা দশার জন্য সরকারের সুনাম ব্যাহত হচ্ছে। তিনি করেরবাজারের দিন অন্তত রাস্তাটিতে ভালোভাবে বিটুমিন আর পিচ ঢালাই দিতে সড়ক বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান।
এই বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাব ডিভিশনাল প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খালেক বলেন, বারইয়াহাট থেকে রামগড় পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটার পুরো সড়কটিই ৩৮ ফুট প্রশস্তকরণের জন্য ৬৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। যার টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে ঠিকাদার নিয়োগও হয়ে গেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এর কাজ শুরু হবে।