১৪ দলের সমাবেশে যুবলীগের দুই গ্রুপে মারামারি

ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়াসিমসহ ১০ জন আহত

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১ জুন, ২০২৩ at ৫:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে ১৪ দলের গণসমাবেশে যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। ইটপাটকেল এবং চেয়ার ছোড়াছুড়িতে কাউন্সিলর ওয়াসিমসহ ৩ জনের কপাল ও মাথা ফেটে যায়। গতকাল বুধবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে লালদীঘি পাড়ের জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে সভাস্থলে এই ঘটনা ঘটে। শান্তিশৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বানচালে দেশিবিদেশি ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন করেছিল ১৪ দল।

জানা গেছে, বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে মিছিল নিয়ে আসার সময় সমাবেশস্থলে ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে দুইপক্ষই চেয়ার এবং ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এসময় সমাবেশ স্থলের সমস্ত চেয়ার তছনছ করে ফেলে। এর মধ্যেই ছোঁড়া ইটের আঘাতে ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীর কপালে এসে পড়লে রক্ত ঝরতে থাকে। এসময় আরো তিনজনের মাথায় ও কপালে ইটের আঘাত লাগে।

প্রথমে নগরীর ওমরগণি এমইএস কলেজকেন্দ্রিক দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। এরপর সিটি কলেজ কেন্দ্রিক একটি অংশের সাথেও ইটপাটকেল এবং চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এসময় পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপরও দফায়দফায় মারামারিতে লিপ্ত হন কর্মীরা। এর ফলে গণসমাবেশের কার্যক্রম বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে সভার কার্যক্রম আবার শুরু হয়।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, মিছিল নিয়ে সমাবেশে মিছিল নিয়ে আসার সময় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে দুইপক্ষ চেয়ার এবং ইট পাটকেল ছোঁড়া শুরু করে। এ সময় কাউন্সিলর ওয়াসিম মাথায় সামান্য আঘাত পান। পরে পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, মিটিংয়ে সবাই নেতার বক্তব্য শুনতে এসেছে, মারামারি দেখতে আসেনি। সমাবেশ মারামারি করার জায়গা নয়। মারামারি করতে হলে লালদীঘিতে গিয়ে মারামারি করেন।

সমাবেশে বিশৃঙ্খলার বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বড় সংগঠনে পছন্দঅপছন্দ থাকতে পারে। তাই বলে একে অপরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে জড়াতে পারি না। আমরা সবসময় এটা বলি। তবুও অনেকে উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে আসেন ও ষড়যন্ত্র করেন। মিছিল নিয়ে এসে বিশৃঙ্খলা করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্কুল থেকে ফেরার পথে কলেজবাস কেড়ে নিল শিশুটির প্রাণ
পরবর্তী নিবন্ধদুই আসামির মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন