স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে গত কয়েক দিনে করোনার প্রকোপ একটু বাড়লেও এতে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। এ বিষয়ে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ সজাগ রয়েছে। সরকার দেশের মানুষকে করোনা টিকার তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ দিচ্ছে। এই পর্যন্ত দেশের আশি থেকে নব্বই ভাগ মানুষ করোনা টিকার ডোজ নিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজারের রামু উপজেলার চেইন্দা গ্রামে বেসরকারি উদ্যোগে হোপ মেটারনিটি এন্ড ফিস্টুলা হাসপাতাল উদ্বোধন করতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপরোক্ত কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর ডেঙ্গু একটু বেড়েছে। এ রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি নিয়েও স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্ক রয়েছে। তিনি জানান, দেশের প্রতিটি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড করা হয়েছে। চিকিৎসক নার্সদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে যাতে তারা ডেঙ্গু রোগের সঠিক চিকিৎসা দিতে পারেন।
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু রোগের হটস্পট কক্সবাজার এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আলাদা নজরদারি রয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বাইরে যাতে ডেঙ্গু রোগ না ছড়ায় সে ব্যাপারে সজাগ রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। একই সাথে ডেঙ্গু রোগের বিস্তার রোধে সারাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগকে জরুরি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোর গোড়ার পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় ৫০ বেডের হাসপাতাল এবং জেলা সদরে আড়াইশ বেডের হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের আধুনিক চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে এখন। তিনি বলেন, দেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবাকে নিশ্চিত করেছে সরকার। সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক করে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে পুরুস্কৃত হয়েছেন।
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতিষ্ঠান হোপ ফাউন্ডেশন কঙবাজারের রামু উপজেলার চেইন্দা গ্রামে একশত শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত হোপ মেটারনিটি এন্ড ফিস্টুলা হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করে।
ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট ডা. ইফতেখার মাহমুদ মিনারের সভাপতিত্বে হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কঙবাজার রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, সরকারের এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান ও রামু উপজেলার নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মোস্তফা প্রমুখ।