টেকনাফে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) অভিযান চালিয়ে বছরের সবচেয়ে বড় চালান ৯ লাখ ইয়াবাসহ পাঁচ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া কক্সবাজারে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২২ বছর আত্মগোপনে থাকা এক আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে এবং আগেরদিন সোমবার রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব। কক্সবাজার র্যাব–১৫ এর অধিনায়ক সাইফুল ইসলাম সুমন গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হল, টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া এলাকার আবদুস শুক্কুরের ছেলে আলমগীর হোসেন (১৯), তার মা সোনা মেহের (৫৫), একই এলাকার সৈয়দ হোসেনের ছেলে আবুল বশর (২২), টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ফুলের ডেইল এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. ফয়সাল (৩১) ও হ্নীলার জাদিরপাড়া এলাকার শামশুল আলমের ছেলে এমরান প্রকাশ লাদেন (২৮)। আটক এই ৫ জন সংঘবদ্ধ একটি মাদক চোরাচালান চক্রের সদস্য বলে জানান র্যাব অধিনায়ক সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, গ্রেপ্তার আবুল বশর, সোনা মেহের, মো. ফয়সাল ও এমরান লাদেনের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মাদকের মামলা রয়েছে।
লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান আসার খবরে র্যাবের একটি টিম টেকনাফের জালিয়াপাড়া এলাকা অভিযান চালায়। এ সময় ২ লাখ ইয়াবাসহ আলমগীর, সোনা মেহের ও আবুল বশরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য মতে, টেকনাফের হ্নীলা থেকে ৭ লাখ ইয়াবাসহ ফয়সাল ও এমরান ওরফে লাদেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক বছরের মধ্যে এটিই উদ্ধারকৃত ইয়াবার বড় চালান বলে জানান র্যাবের অধিনায়ক। তিনি জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে।
এদিকে সোমবার রাতে কঙবাজার শহরের রুমালিয়ারছড়ায় অভিযান চালিয়ে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২২ বছর ধরে আত্মগোপনে থাকা রশিদ আহমদ নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রশিদ আহমদ ওই এলাকার হাজি আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে। তাকে কঙবাজার সদর থানার পুলিশের মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়েছে।