কিশোরী উদ্ধার, টিকটক প্রতারক গ্রুপের তিনজন গ্রেপ্তার

ঝিনাইদহ থেকে অপহরণ করে রাউজানে আত্মগোপন

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৯ মে, ২০২৩ at ৭:৩৬ পূর্বাহ্ণ

ঝিনাইদহ থেকে এক কিশোরীকে অপহরণ করে রাউজান নিয়ে এসে আটকে রাখার অভিযোগে টিকটক প্রতারক গ্রুপের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব, চট্টগ্রামের একটি টিম। গ্রেপ্তারকৃতরা হল হাটহাজারী থানার পশ্চিম ধলইয়ের মৃত শ্যামল কুমার দে’র ছেলে সুজন দে প্রকাশ বাবু দে (২৬), রাউজানের সৌরভ সরকারের স্ত্রী মুক্তা দে (৩০) ও পশ্চিম ধলইয়ের মৃত যতীন্দ্র লাল দে’র ছেলে রুপন দে (৪৭)

র‌্যাব, চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পরিচালক নূরুল আবছার জানান, ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী ঝিনাইদহের একটি মহিলা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। এক বছর আগে বাবু দে নামে এক যুবকের সাথে টিকটক ভিডিওর মাধ্যমে তার পরিচয় হয়। উক্ত পরিচয়ের সূত্র ধরে বাবু দে প্রায়শই ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইলে কল দিয়ে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন রকম কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। মোবাইলে এমন অশালীন কথা বলার বিষয়টি কিশোরী তার বাবাকে জানায়। তিনি বাবু দে’কে বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন এবং তার মেয়ের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতে নিষেধ করেন। তার এ কথায় বাবু দে ক্ষিপ্ত হয়ে তার অপরাপর সহযোগীদের সাথে আলোচনা করে চট্টগ্রাম থেকে ঝিনাইদহ গিয়ে ভিকটিমকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করে।

পরবর্তীতে গত ১৩ মে বিকাল আনুমানিক ৪টার দিকে ভিকটিম প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে ঝিনাইদহ পৌরসভার পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে বাবু ও তার সহযোগীরা একটি মাইক্রোবাসে ভিকটিমকে উঠিয়ে মাগুরা শহরের দিকে নিয়ে যায়। ঐ সময় তার দুইজন বান্ধবী অপহণের ঘটনাটি দেখে তার বাড়িতে খবর দেয়। ভিকটিমের মাবাবা এবং তাদের পরিবারের লোকজন মেয়েকে বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোঁজ করে। মেয়েকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে ভিকটিমের বাবা স্বপন কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে গত ১৫ মে ঝিনাইদহ সদর থানায় বাবু দেসহ চার জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ঝিনাইদহ থানা পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় খোঁজ পেয়ে তার বাবাকে জানায়, মেয়েটি ও অপহারণকারীরা রাউজান এলাকায় অবস্থান করছে।

এ তথ্যের প্রেক্ষিতে মেয়েকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে আটকের জন্য ভিকটিমের বাবা স্বপন কুমার বিশ্বাস র‌্যাব, চট্টগ্রাম বরাবর অভিযোগ করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাব৭ এর একটি অভিযানিক দল গত ১৭ মে বর্ণিত এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি সুজন দে প্রকাশ বাবু দে, মুক্তা দে ও রুপন দে’ কে গ্রেপ্তার করে এবং অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করে।

পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে আসামিরা স্বীকার করে যে, তারা অসৎ উদ্দেশে ওই কিশোরীকে ঝিনাইদহ থেকে অপহরণ করে রাউজানে এসে আত্মগোপন করেছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচার বছরে বসেছে কেবল পিলার ও প্রতিরক্ষা দেয়াল
পরবর্তী নিবন্ধপাহাড়তলীতে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে আগুন