গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বহিষ্কৃত মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ গঠনতন্ত্রের বিধি মোতাবেক গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে। এর আগে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও গাজীপুর নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত হয়। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খবর বাংলানিউজের।
এদিকে দেড় বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়া গাজীপুরের নেতা জাহাঙ্গীর আলম মনে করেন, তার জনপ্রিয়তার কারণেই আওয়ামী লীগেরই তাকে দরকার। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিজে প্রার্থী হতে না পারার পর মাকে নিয়ে নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়ানো সাবেক মেয়র এটাও বলেছেন যে, তিনি তার মাকে ফেলে দিতে পারবেন না। ১৩ মাসের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের পর চলতি বছরের জানুয়ারিতেই দলে ফিরেছিলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২০১৮ সালে নৌকা নিয়ে জেতা জাহাঙ্গীর। সাড়ে চার মাস বাদে ফের এল বহিষ্কারাদেশ, গাজীপুরে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে প্রচারে নামার পর। তার আগের দিনই আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ দলের সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে পাঠান হয়। সোমবার সন্ধ্যায় দলের সিদ্ধান্ত আসার আগে সঙ্গে কথা হয় জাহাঙ্গীরের। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে ততক্ষণে তার বহিষ্কৃত হওয়ার খবর চলে এসেছিল। জাহাঙ্গীর বলেন, তিনি দলের ব্যবস্থা নিয়ে ভীত নন। আওয়ামী লীগেরও আমাকে প্রয়োজন আছে।












