নগরীর বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও গতকাল দিনে ফিলিং স্টেশনগুলোতে মেলেনি গ্যাস। তাই সড়কে গতকালও কম ছিল যানবাহনের সংখ্যা। নগরীর বিভিন্ন মোড়ে গাড়ির জন্য যাত্রীদের দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। এদিকে চট্টগ্রামের বেশিরভাগ উপজেলায় যাতায়াতের জন্য বর্তমানে সিএনজি ট্যাক্সির ওপর নির্ভর করতে হয়। ফিলিং স্টেশন বন্ধ থাকায় ডিজেলচালিত গাড়িতে বেশি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হয় বলে অভিযোগ যাত্রীদের। আমাদের রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি জানান, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কাপ্তাই সড়ক সংলগ্ন মোহাম্মদপুর এলাকার বিসমিল্লাহ আলমাস সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গতকাল দিনে গ্যাস বিক্রি বন্ধ ছিল। ফলে অনেক সিএনজি ট্যাক্সি গ্যাস নিতে এসে ফেরত যায়। ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক মাওলানা আব্দুল আলিম বলেন, দুর্যোগের কারণে গত শনিবার ভোর ৬টা থেকেই লাইনের গ্যাস বন্ধ রয়েছে। গ্যাস কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় গ্যাস সরবরাহ দিবে।
রোয়াজারহাট সিএনজি অটোরিকশা সমিতির সভাপতি নুরুল আজিম মনু বলেন, কাপ্তাই সড়কসহ আশেপাশের সড়কের সব সিএনজি ট্যাঙি গ্যাস চালিত। গ্যাস সংকট শুরুর পর থেকে সড়কে একেবারে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
অপরদিকে আমাদের সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি জানান, সড়কে গাড়ি কমে যাওয়ায় গতকাল সোমবার দিনভর দুর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষ। ডিজেলচালিত গণপরিবহন আসতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন যাত্রীরা। আবার অনেকে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্যাস না থাকায় সড়কে গণপরিবহন কম। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিস–আদালত খোলা থাকায় মানুষ কিছুটা দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে।