শুভমান গিল আর ঋদ্ধিমান সাহার দুর্দান্ত ব্যাটিং এর পর মোহিত শর্মার বোলিং আরো একটি জয় এনে দিয়েছে আইপিএলের গত আসরের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্সকে। গতকাল আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত ম্যাচে গুজরাট ৫৬ রানে হারিয়েছে লখনৌকে। এই ম্যাচে জয়ের ফলে ১১ ম্যাচের ৮টিতে জিতে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার সবার উপরে গুজরাট টাটটিান্স। আর ১১ ম্যাচের ৫টিতে জিতে ১১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে লখনৌ। হার্দিক পান্ডিয়া এবং ক্রুনাল পান্ডিয়া দুই ভাই দুই দলের অধিনায়ক। আর এই দুই ভাইয়ের লড়াইয়ে জয়টা হার্দিক পান্ডিয়ার।
টস জিতে ছোটভাই হার্দিক পান্ডিয়াকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বড় ভাই ক্রুনাল পান্ডিয়া। ব্যাট করতে নেমে লখনৌ বোলারদের ওপর রীতিমত ঝড় বইয়ে দিয়েছেন গুজরাটের ব্যাটাররা। দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা এবং শুভমান গিলের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান সংগ্রহ করেছে গুজরাট টাইটান্স। উদ্বোধনী জুটিতেই ১২.১ ওভারে ১৪২ রান তুলে নিয়েছিলো গুজরাট। ৪৩ বলে ৮১ রান করে আউট হন ঋদ্ধিমান সাহা। ১০টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৪টি ছক্কা মারেন তিনি। শুভমান গিল অল্পের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি। ৫১ বলে ৯৪ রানে ছিলেন অপরাজিত। ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৭টি ছক্কা মারেন তিনি। এছাড়া হার্দিক পান্ডিয়া করেন ১৫ বলে করেন ২৫ রান। ১২ বলে ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন ডেভিড মিলার। লখনৌয়ের হয়ে মহসিন খান এবং আবেশ খান ১টি করে উইকেট নেন। জবাবে ব্যাট করতে নামা লখনৌ সুপার জায়ান্টও শুরুটা ভাল করেছিল। দুই ওপেনার কাইল মায়ার্স এবং কুইন্টন ডি কক ৮৮ রান যোগ করেন ৮.২ ওভারে। এজুটি ভাঙ্গে ৩২ বলে ৪৮ রান করা মায়ার্সের বিদায়ে। তিনি ৭টি চার এবং ২টি ছক্কা মারেন। এজুটি ভাঙ্গার পর তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়তে থাকে লখনৌ এর ব্যাটিং লাইন। বিশেষ করে মোহিত শর্মার বোলিং তোপের মুখে পড়ে কোন ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেনি। দলকে ১১৪ রানে পৌছে দিয়ে ফিরেন কুইন্টন ডি কক। রশিদ খানের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে আসার আগে ৪১ বলে ৭টি চার এবং ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৭০ রান করে আসেন এই আফ্রিকান। এরপর কেবলই আসা যাওয়া করেছে লখনৌ এর ব্যাটাররা। শেষ দিকে ১১ বলে ২১ রান করে হারের ব্যবধানটা কিছুটা কমিয়েছেন আয়ুস বাদোনি। শেষ পর্যন্ত ১৭১ রানে থামে লখনৌ এর ইনিংস। গুজরাটের পক্ষে মোহিত শর্মা নেন ২৯ রানে ৪ উইকেট। ম্যাচ সেরা হয়েছেন শুভমান গিল।
