দক্ষিণ–পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। লঘুচাপটি ক্রমান্বয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হয়ে বাংলাদেশের উপকূলে আচড়ে পড়ার আশঙ্কার কথাও বলা হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুকের স্বাক্ষর করা এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আগামী ৭ মে দক্ষিণ বঙ্গোসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে, পরবর্তীতে এটি ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মে মাসে বঙ্গোপসাগরে ১–২ টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ভারতের বিশেষায়িত আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্র (আরএসএমসি) জানিয়েছে, আগামী ৬ মের দিকে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে। এটি ঘণীভূত হয়ে ৯ মের দিকে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এরপর এটি আরও উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আন্দামান দ্বীপের কাছে ১০ মের দিকে গভীর নিম্নচাপ এবং ১১মের দিকে রূপ নিতে পারে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে নাম হবে ‘মোচা’। নামটি দিয়েছে ইয়েমেন। এদিকে গতকাল আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী তিন দিনে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে এবং তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
জানতে চাইলে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের একজন কর্মকর্তা জানান, চট্টগ্রামের আবহাওয়া এখনো উষ্ণ রয়েছে। আজ (গতকাল) চট্টগ্রাম সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আগামী দুই একদিনের মধ্যে চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আগামীকাল (আজ) তাপমাত্রা আজকের (গতকাল) মতো থাকতে পারে।