বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান অনূর্ধ্ব–১৯ ক্রিকেট দলের চারদিনের ম্যাচের প্রথম দিনেই ব্যাকফুটে স্বাগতিক বাংলাদেশ দলের যুবারা। পাকিস্তানের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে দেড়শও পার করতে পারেনি স্বাগতিকরা তাদের প্রথম ইনিংসে। জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চারদিনের ম্যাচের প্রথম দিনের শুরুতেই স্বাগতিকদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেন পাকিস্তানী পেসাররা। বিশেষ করে দুই পেসার মোহাম্মদ ইসমাইল এবং আমির হাসানের বলে যেন আগুন ঝরেছিল। এই দুই জনই তুলের নেন ৭ উইকেট। টসে হেরে ব্যাট করতে নামা স্বাগতিকরা দ্বিতীয় ওভারেই হারায় দুই উইকেট। আমির হাসানের করা নিজের প্রথম এবং ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে ফিরেন আশিকুর রহমান। চতুর্থ বলে ফিরেন আদিল। সে ধাক্কা না সামলাতেই সপ্তম ওভারে আবার জোড়া আঘাত পাকিস্তানী পেসার ইসমাইলের। এবার তার শিকার মাজহারুল এবং জাকারিয়া। এদের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেনি। ১০ রানে ৪ উইকেট নেই বাংলাদেশের। নিজের পরের ওভারে আবার ইসমাইলের আঘাত। এবার তার শিকার ৪ রান করা সিয়াম হোসাইন। ২১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে যখন ধুকছিল স্বাগতিকরা তখন হাল ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক সাকিব এবং পারভেজ রহমান। দুজন মিলে দলকে নিয়ে যান ১০২ রানে। নিজের হাফ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ২ রান দুরে থাকতে ফিরেন সাকিব। আমির হাসানের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরেন সাকিব। ফিরে আসার আগে ৯৮ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৪৮ রান করেন টাইগার দলপতি। এরপর দলকে টানেন পারভেজ রহমান। কিন্তু তিনিও যেতে পারেননি বেশিদুর। দলকে ১২৪ রানে রেখে ফিরেন পারভেজ। তবে তার আগে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ব্যাটার। ওয়াহাজ রিয়াজের বলেন ইসমাইলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে আসার আগে ১১১ বলে ৮টি চারের সাহায্যে ৫৬ রান করেন পারভেজ। তিনি ফেরার পর আর বেশিদুর এগুতে পারেনি স্বাগতিকরা। তাদের ইনিংস থামে ১৪৯ রানে। ১৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন ওয়াসি সিদ্দিকী। বাংলাদেশ দলের ৮ জন ব্যাটার পারেননি দুই অংকের ঘরে। শূন্য রানে আউট হয়েছেন চারজন। পাকিস্তানের পক্ষে ১৬ ওভার বল করে ২৯ রান খলচায় ৪ উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের কোমর ভেঙ্গে দেন আমির হাসান। আরেক পেসার মোহাম্মদ ইসমাইল নিয়েছেণ ৪১ রানে ৩ উইকেট। ৩৭ রানে ২টি উইকেট নিয়েছেন আলি আসফান্ড।
বাংলাদেশকে মাত্র ১৪৯ রানে অল আউট করে দিয়ে দারুন সুচনা করে সফরকারী পাকিস্তান অনূর্ধ্ব–১৯ দল। পাকিস্তানী বোলাররা বাংলাদেশের ব্যাটারদের উপর ছড়ি ঘুরালেও বাংলাদেশের বোলাররা যেন ছিল নির্বিষ। পাকিস্তানের দুই ওপেনার আজান আওয়াইস এবং শাহজাইব খানকে মোটেও পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি। এই দুই ওপেনার দিনের ২৬ ওভার কাটিয়ে দেন নির্বিঘ্নে। শুধু কাটিয়েই দেননি এদুজন মিলে উদ্বোধনী জুটিতে তুলে নিয়েছেণ ৭৬ রান। ফলে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের চাইতে এখন আর মাত্র ৭৩ রান পিছিয়ে। হাতে রয়েছে এখনো সবকটি উইকেট। আজান আওয়াইস অপরাজিত আছেন ৮৫ বলে ৩৬ রান করে। অপর ওপেনার শাহজাইব খান অপরাজিত আছেন ৭২ বলে ৩৯ রান করে। বাংলাদেশের কোন বোলার উইকেটের আশপাশেও যেতে পারেনি। ফলে এদুজন আজ নিজেদের ইনিংসটাকে আরো কত উচুতে নিয়ে যান সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা। আজ ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের বোলাররা কতটা পরীক্ষা নিতে পারে পাকিস্তানের ব্যাটারদের সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে আপাত দৃষ্টিতে প্রথম দিন শেষেই ম্যাচের লাগাম যেন পাকিস্তানীদের হাতে।












