দ্বিতীয় দিনেও কয়েকটি ট্রেনে বিলম্ব, দুর্ভোগ

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৯ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:০৫ পূর্বাহ্ণ

ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনেও গতকাল পাহাড়িকা, বিজয়, সোনার বাংলাসহ বেশ কয়েকটি ট্রেনের যাত্রা বিলম্ব হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন ছাড়তে না পারায় চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নারীশিশু ও বৃদ্ধসহ শত শত যাত্রী তীব্র গরমের মধ্যে হাঁসফাঁস করেছেন।

তবে গতকাল সরকারি অফিসআদালতে ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস হওয়ায় অনেকেই অফিস শেষ করে বাড়ির পানে যাত্রা করেছেন। অফিস শেষে অনেকে বিকালে ও সন্ধ্যায় বাসে বা ট্রেনে করে বাড়ির পানে ছুটেছেন। আজ বুধবার থেকে ঈদের ৫ দিনের ছুটি শুরু হচ্ছে। তাই আজ বুধবার সকাল থেকে বাস ও ট্রেনে মানুষের ভিড় বাড়বে। গতকাল ট্রেনে তেমন ভিড় না হলেও বাসে ভিড় ছিল। বিশেষ করে কদমতলী বাস স্টেশন এবং কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু এলাকা ছিল লোকে লোকারণ্য। দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষ অফিস শেষে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাড়ি ফিরেছেন। এদিকে গতকাল ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে বেশ কয়েকটি ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। অনেক ট্রেন ছাড়তে দুইতিন ঘণ্টা বিলম্ব হয়েছে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী আজাদীকে বলেন, উদয়ন দেরি করে আসায় পাহাড়িকা ছাড়তে দেরি হয়েছে। বিজয় ও সোনার বাংলা ছাড়তেও কিছুটা দেরি হয়েছে। অন্য ট্রেনগুলো ঠিকমতো ছেড়ে গেছে।

তবে ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে গতকাল কোনো ট্রেনে তেমন ভিড় ছিল না। চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেসে ৩টি অতিরিক্ত বগি সংযুক্ত করা হয়েছে। অন্য ট্রেনগুলোতেও একটিদুটি করে বগি লাগানো হয়েছে। প্রথমবারের মতো অনলাইনে টিকেট দেওয়ায় অনেকে টিকেট কাটতে পারেননি। এই কারণে প্রতিটি ট্রেনে কিছু সিট খালি রয়েছে। তবে আজ থেকে ভিড় বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, সিলেট থেকে উদয়ন ভোর ৫টায় চট্টগ্রাম স্টেশনে আসার কথা থাকলেও প্রায় পৌনে ৪ ঘণ্টা বিলম্বে সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে চট্টগ্রাম আসে। নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেনটি না আসায় নির্দিষ্ট সময়ে সিলেটগামী পাহাড়িকাও ছাড়তে পারেনি। পাহাড়িকা সকাল ৭টা ২০ মিনিটে সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি ছেড়ে গেছে সকাল ৯টা ২৫ নিমিটে। ময়মনসিংহগামী বিজয় এঙপ্রেস সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ছেড়ে গেছে সাড়ে ৯টায়। এদিকে সোনার বাংলা বিকাল ৫টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ছেড়ে গেছে ৫টা ৫০ মিনিটে।

চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন গন্তব্যে দিনে ১৫টি আন্তঃনগর ট্রেন ছেড়ে যায়। প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার যাত্রী ঈদে বাড়ি ফিরতে পারবেন।

এদিকে গতকাল ট্রেনের চেয়ে বাসে ভিড় ছিল বেশি। আজ ভিড় আরো বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির মহাসচিব প্রফেসর কফিল উদ্দিন আহমদ আজাদীকে বলেন, যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে টিকেট নিতে পারছেন এবং যেতে পারছেন। বৃষ্টি না হলে এবার ঈদযাত্রা ভালো হবে। যাত্রীরা ভালোভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন। অন্যবারের মতো এবারও প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে ৩০৪০ হাজার যাত্রী যেতে পারবেন। চট্টগ্রাম থেকে ৫০ থেকে ৬০টি রুটে প্রতিদিন ৫শ থেকে ৬শ গাড়ি যাবে যাত্রী নিয়ে। দিন দিন ভিড় বাড়বে বলে জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদারিদ্র্য বিমোচনে ইসলামের ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক বিধান যাকাত
পরবর্তী নিবন্ধবিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের বিচার করবে সরকার : প্রধানমন্ত্রী