ওটিটিতে ‘সেন্সরশিপ’ দাবি করে বলিউড তারকা সালমান খান বলেছেন, এই প্ল্যাটফর্মে ‘অশ্লীলতা, নগ্নতা এবং সংলাপে অশ্রাব্য শব্দের ব্যবহার’ বন্ধ হওয়া উচিত। আমরা ভারতে বসবাস করি, কোনভাবেই দেশের সংস্কৃতি ভুলে যাওয়া উচিত নয়। সব কিছুর একটা সীমা আছে, তা অতিক্রম করা উচিত নয়, বলেছেন এই অভিনেতা। খবর বিডিনিউজের।
৬৮তম ফিল্মফেয়ার সঞ্চালনার দায়িত্ব পেয়েছেন সালমান খান। এ উপলক্ষে মুম্বাইয়ে এক সংবাদ সম্মলেনে এসে, ওটিটি নিয়ে নিজের মতামত জানানোর পাশাপাশি হিন্দি সিনেমার ‘মন্দা’ দশা এবং তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে তাদের সময়ের অভিনেতার কাজের পার্থক্য নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন বলিউডের ‘ভাইজান’।
সিনেমা–টেলিভিশনে সেন্সরশিপ থাকলে ওটিটিতে নয় কেন? ব্যক্তিজীবনে প্রেম–প্রেমিকা নিয়ে ‘আলোচিত সমালোচিত’ হলেও সাড়ে তিন দশকের সিনেমা ক্যারিয়ারে সালমানকে তার নায়িকাদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে তেমন একটা পাওয়া যায়নি। ইন্ডিয়ান এঙপ্রেস জানিয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে এই নায়ক ওটিটি
নিয়ে শুরুতেই বলেন, এই প্ল্যাটফর্মে অশ্লীলতা, নগ্নতা, যৌতনা বেশি আসছে। সংলাপে গালিগালাজের মাত্রা বেশি। এসব বন্ধ হওয়া উচিত। আমি ৮৯ সাল থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে আছি, জনপ্রিয়তা পেতে এমন কিছু করতে হয়নি আমাকে। নির্মাতা ‘পরিচ্ছন্ন’ কনটেন্ট বানালে সবার জন্য ভালো হয় বলেই মনে করেন
সালমান। তিনি বলেন, সবকিছু মোবাইলে চলে আসছে। ১৫–১৬ বছর বয়সীদের কথাই ভাবুন না কেন। তারা যখন মোবাইল নিয়ে পড়াশোনার বাহানা করে এসব দেখে, সেটা কি ভালো হবে? তাই আমার মনে হয় ওটিটিতে আসার আগে কনটেন্ট খতিয়ে দেখতে হবে। কাজ যত পরিচ্ছন্ন হবে তত ভালো। এতে দর্শক সংখ্যা কমনে না, বাড়বে।
সেন্সরশিপের কথা তুলে সালমান বলেন, সিনেমা–টেলিভিশনে সেন্সরশিপ আছে। তাহলে ওটিটিতে থাকবে না কেন? আপনি ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে, চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করলেন বা নিজেকে মেলে ধরলেন। সেই দৃশ্য আপনার বিল্ডিংয়ের নিরাপত্তা কর্মী বা লিফটম্যান দেখছে। আমার মনে হয় সেটি ভালো হচ্ছে না। সুরক্ষার দিক
থেকেও সেটি ভালো হয় না। অনেক ভালো অভিনয় শিল্পী আছেন, যারা খোলামেলা দৃশ্যে কাজ করতে চান না। তারা ওটিটি এড়িয়ে চলছেন বলেও মনে করেন এই অভিনেতা। ওটিটির ভালো কাজের প্রশংসাও করেছেন সালমান। তিনি বলেন, রুচিসম্মত কনটেন্টও সেখানে আসছে। ওটিটির কারণে অনেকের কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে।