সারাদেশের পাশাপাশি চট্টগ্রাম নগরীতেও এখন মশার উৎপাত বেড়েছে। মশাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে বাড়ছে রোগী। মশার উৎপাত কমাতে ‘মশার ওষুধ’ নিয়ে নানা সময়ে নানা মেয়রের নানা প্রতিশ্রুতি যেন স্বপ্ন হয়েই রইল। চারদিকে মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ নগরবাসী মেয়রের আশ্বাস,
মশার ওষুধের মান নিয়ে নানা জটিলতা নিরসন হচ্ছে না কোনো ভাবেই! এইতো গত ৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে দুদক তলব করলে সেখানে মশার ওষুধ কেনাকাটায় মিলল নানা অনিয়ম। এমন অপ্রত্যাশিত খবর নগরভবন থেকে নগরবাসী কখনও আশা করে না। যেখানে স্বয়ং সিটি কর্পোরেশন মশার ওষুধ
কেনাকাটায় অনিয়ম করে, সেখান থেকে মশার উৎপাত কমানোর বিষয় নিয়ে আমরা কতটুকুই আশ্বস্ত হতে পারি তা প্রশ্ন থেকেই যায়। মশার উৎপাত নিয়ে সরকারের দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নাগরিক সচেতনতারও খুব প্রয়োজন যেমন; যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা না ফেলা, বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন
রাখা, ফ্রিজ ও এসির নিচে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করাসহ নানা সচেতনতায় ডেঙ্গু বিস্তার ও মশার উৎপাত কিছুটা কমে। দেশের সকল দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি মেয়রের সদিচ্ছা থাকলে ও মশার ওষুধের ভালো মান বজায় রেখে নিয়মিত প্রতিটি পাড়া–মহল্লা, স্কুল–কলেজ, ধর্মীয় উপাসনালয় প্রাঙ্গণ,
হাসপাতালের আশেপাশে, শিল্প–কারখানাসহ যথাস্থানে মশার ওষুধ ছিটিয়ে মশার উৎপাত থেকে রক্ষা করার জন্য আশু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
আলতাফ হোসেন হৃদয় খান
পাঁচলাইশ ৩নং ওয়ার্ড, চট্টগ্রাম।