সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি মৌসুমে নির্ধারণ করা হজের খরচ ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা থেকে কমিয়ে চার লাখের মধ্যে পুনর্র্নিধারণ করতে সরকারকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফ–উজ–জামান গতকাল সোমবার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাবরে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। খবর বাংলানিউজের। গত ১ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে হজ প্যাকেজ–২০২৩ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে সভা শেষে সাংবাদিকদের সিদ্ধান্ত জানান প্রতিমন্ত্রী। চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে সৌদি আরব যেতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজ পালনের অনুমতি পাবেন। এদিন এ বিষয়ে স্মারক জারি করে মন্ত্রণালয়। সেখানে বিমান ভাড়া দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা। নোটিশ প্রেরণকারী আইনজীবী জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ–সৌদি–বাংলাদেশ রুটে প্লেন ভাড়া ৭৬ হাজার টাকা থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা। প্রতি বছর দুই দেশের সরকার হজ যাত্রীদেরকে সৌদি ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকেট কিনতে বাধ্য করে। এ কারণে টিকেট কিনতে হজ যাত্রীদের স্বাধীনতা ধ্বংস হয়।
এসব কারণসহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করে নোটিশে অনুরোধ করা হয়, চার লাখ টাকার মধ্যে হজ প্যাকেজ–২০২৩ সংশোধন, পরিবর্তন এবং পুর্ননির্ধারণ করতে বলা হয়। সাত দিনের মধ্যে করতে ব্যর্থ হলো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এছাড়া ই–মেইল ও ফ্যাঙযোগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, রাজকীয় সৌদি আরব সরকার, সব মুসলিম দেশগুলোর বাংলাদেশ অ্যাম্বেসি, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি), তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হাসান রুহানি, সৌদি আরবের রাজা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ, কাতারের আমীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি, সংযুক্ত আরব–আমিরাতের (ইউএই) প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল–নাহিয়ান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীম বরাবরে এ নোটিশের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।