চলতি মার্চ মাসে রান্নায় ব্যবহৃত আমদানি করা তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) দাম কেজিতে ৬ টাকা ৩১ পয়সা কমিয়েছে সরকার। ৫ শতাংশ কমানোর পর নতুন দর অনুযায়ী বেশি ব্যবহার হওয়া ১২ কেজি ওজনের একটি সিলিন্ডারে আগের মাসের তুলনায় ভোক্তার সাশ্রয় হবে প্রায় ৭৬ টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এলপি গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা করে যা কার্যকর হবে আজ সন্ধ্যা থেকেই।
আগের মাসে ২১ শতাংশ দাম বাড়ানোর পর এবার ৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে প্রতি কেজি এলপিজির দাম ছিল ১২৪ টাকা ৮৫ পয়সা। মার্চে ৫ শতাংশ বা ৬ টাকা ৩১ পয়সা কমে গিয়ে ১১৮ টাকা ৫৪ পয়সা হয়েছে।
যদিও গত কয়েক মাস ধরে সরবরাহ সংকটের কথা বলে সরকার নির্ধারিত ঘোষণা আমলে নিচ্ছে না বেসরকারি কোম্পানিগুলো।
ফেব্রুয়ারিতে ১২ কেজি ওজনের একটি এলপিজি সিলিন্ডারে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৪৯৮ টাকা নির্ধারণ করলেও বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকায়। মার্চ মাসে এসে ১২ কেজি ওজনের ওই সিলিন্ডারের দাম ঠিক করা হয়েছে ১৪২২ টাকা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্চের জন্য সৌদি আরামকোর ঘোষিত প্রোপেন ও বিউটেনের দাম যথাক্রমে প্রতিটন ৭২০ ডলার ও ৭৪০ ডলার। এই দুই উপাদনের ৩৫:৬৫ অনুপাতের মিশ্রণের মূল্য দাঁড়াচ্ছে প্রতিটন ৭৩৩ ডলার। মার্চের জন্য প্রতি টন মিশ্রণের মূল্য ছিল ৭৯০ ডলার।
সেই হিসাবে এক মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজির উপাদানের দাম ৫৭ ডলার কমেছে।
আন্তর্জাতিক নতুন দর বিবেচনায় নিয়ে মার্চে রেটিকুলেটেড এলপিজির দাম প্রতিকেজি ১১৫ টাকা ৩১ পয়সা ঠিক করা হয়েছে, যা আগের মাসে ১২১ টাকা ৬২ পয়সা ছিল।
এদিকে, মার্চে যানবাহনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের দাম ঠিক করা হয়েছে প্রতিলিটার ৬২ টাকা ২২ পয়সা, যা আগের মাসে ছিল ৬৯ টাকা ৭১ পয়সা ছিল।
নতুন দর অনুযায়ী, সাড়ে ৫ কেজির সিলিন্ডার ৬৫২ টাকা, ১৫ কেজি ১৭৭৮ টাকা, ১৬ কেজি ১৮৯৭ টাকা, ১৮ কেজি ২১৩৪ টাকা, ২০ কেজি ২৩৭১ টাকা, ২২ কেজি ২৬০৮ টাকা, ২৫ কেজি ২৯৬৪ টাকা, ৩০ কেজি ৩৫৫৭ টাকা, ৩৩ কেজি ৩৯১২ টাকা, ৩৫ কেজি ৪১৫০ টাকা এবং ৪৫ কেজির দাম ৫৩৩৪ টাকা ঠিক করা হয়েছে।