একসময় পাড়ায় পাড়ায় ক্রিকেট দল ছিলো। হাই স্কুলে পড়া, কলেজ পড়ুয়া বা ঐ বয়সী ছেলেরা এই সব পাড়া ভিত্তিক ক্রিকেট দলগুলোতে খেলতো। শীতের সময়টা তখন ক্রিকেট সিজন ধরা হতো। স্টার যুব ক্রিকেট নামে একটি টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতো। আর পাড়া ভিত্তিক দলগুলো এই টুর্নামেন্টে খেলতো। স্টার যুব ক্রিকেট টুর্নামেন্ট থেকে অনেক ভালো ক্রিকেট খেলোয়াড় উঠে এসেছিলো। আরেকটি টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতো স্টার সামার ক্রিকেট নামে। এই টুর্নামেন্টে দেশের বড় ক্রিকেট দলগুলো খেলতো। পাশাপাশি, ভারত থেকেও ক্রিকেট দল আসতো, যেমন – হায়াদ্রাবাদ ডেকান ব্লুজ। মরহুম শাহেদ আজগর চৌধুরী ও উনার ভাই ওয়াহেদ আজগর চৌধুরী এই টুর্নামেন্ট দু‘টো চালাতেন। চট্টগ্রামের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে এই আজগর পরিবারের অসামান্য ভূমিকা ছিলো।
আরেকটি পরিবার, ইস্পাহানি পরিবার তো চট্টগ্রাম তথা সারাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এখনও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে। এলিট পেইন্ট পরিবারও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি দল ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগে খেলতো। এই দলে মূলত চট্টগ্রামের উঠতি ক্রিকেটাররা খেলতো। পরবর্তীতে এইসব ক্রিকেটারদের মধ্য থেকে বেশ ক‘জন জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলো। তখন চট্টগ্রাম থেকেই ৫/৬ জন জাতীয় দলে খেলতো।
মেলার দাপটে এখন টুর্নামেন্টগুলো আর অনুষ্ঠিত হয় না। মাঠে খেলা হয় না। মেলা হয় মাঠে। মাঠের সংখ্যাও কমে গেছে। টুর্নামেন্ট আয়োজন করার উদ্যোক্তাও নেই। জাতীয় দলে চট্টগ্রামের প্রতিনিধিত্বও কমে গেলো। তামিম ইকবাল আর ইদানীং ইয়াসীর রাব্বী। কোথায় হারিয়ে গেলো সোনালী সেই দিনগুলো, আজ আর নেই।










