কার্ডের মাধ্যমে ওএমএসের পণ্য বিক্রির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

যুদ্ধ থামার নিশ্চয়তা নেই, উৎপাদন বাড়ান

আজাদী ডেস্ক | মঙ্গলবার , ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

খোলাবাজারে চাল, আটার মতো জরুরি খাদ্যপণ্য বিক্রির ওএমএস কার্যক্রমে ব্যবস্থাপনার ঘাটতি নজরে পড়ায় কার্ডের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নির্দেশনা দেন সরকারপ্রধান। পরে বিকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের সামনে বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

তিনি বলেন, সরকারের তরফ থেকে ওএমএস যেটা আমরা করি, চলমান আছে, মাঝে মাঝে যে ব্যবস্থাপনা আছে, সে ব্যবস্থাপনার কিছুটা ঘাটতি সরকারের নজরে আসছে। এই কাজটা করতে গিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। এই ব্যবস্থাপনার ঘাটতির বিষয়টি উন্নতি করতে হবে। টিসিবির মাধ্যমে কার্ডে প্রায় এক কেটি পরিবারকে খাদ্যপণ্য দেওয়া হচ্ছে। ওএমএসটাও যেন কার্ডের মাধ্যমে দেয়া হয়, যাতে লোকজনকে অহেতুক দীর্ঘ ভিড়ের মধ্যে থাকতে না হয়, একটা শৃঙ্খলা আসে, এর জন্য কার্ডের মাধ্যমে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এবং এই ব্যপারে আমরা সামনে কাজ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। খবর বিডিনিউজের।

বর্তমানে ঢাকাসহ সারা দেশে ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে চাল ও আটা বিক্রি করছে টিসিবি। সেখানে ৩০ টাকা দরে একজন সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল এবং প্রতি কেজি ২৪ টাকা দরে সর্বোচ্চ ৩ কেজি আটা কিনতে পারছেন। কিন্তু ওএমএসের পণ্য কিনতে ক্রেতাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পরও পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে অনেককে।

অব্যবস্থাপনাটা কী এবং কারা কার্ড পাবেন, জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ভিড় হওয়াটা ব্যবস্থাপনার ঘাটতি নয়। অন্য খাদ্য কর্মসূচির মধ্যে যারা যুক্ত আছেন, তারা আসবে কিনা এগুলো আমরা বসে পরে ঠিক করব।

বাজারের অস্বাভাবিক পরিস্থিতি যেন না হয় সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, খাদ্য মজুদদারির বিষয়ে নজরদারির কথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন। এটা আমাদের চলমান কার্যক্রম। অনেক আগে থেকেই এই নির্দেশনা দিয়েছেন। অস্বাভাবিক পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না করে, সেজন্য জেলার ডিসি, মন্ত্রণালয়ে বলা হয়েছে নজরদারির মধ্যে থাকতে।

যুদ্ধ থামার নিশ্চয়তা নেই, উৎপাদন বাড়ান : ইউক্রেনরাশিয়ার যুদ্ধ কবে থামবে, সে নিশ্চয়তা না থাকায় জনগণকে উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় তার সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে। যে কোনো পরিস্থিতিতে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।

গতকাল নিজ কার্যালয়ে বিসিএস কর্মকর্তাগণের ৭৪তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

বাসস জানায়, কোভিড১৯ মহামারী এবং রাশিয়াইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবার আহ্বানও জানান।

সামরিক সরকার এলে দুর্নীতি বাড়ে : সামরিক সরকার এলে দুর্নীতি বাড়েএই মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের কাছে তাদের (সামরিক সরকার) জবাবদিহি করতে হয় না। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত, তাই আমরা কাজ করছি জনকল্যাণে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা শুদ্ধাচার নীতি নিয়েছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতালাবদ্ধ রুমে হাত-পা বাঁধা গলাকাটা লাশ
পরবর্তী নিবন্ধরমজানের জন্য অ্যাকশন প্ল্যান