রমজানের আগে দেশে চিনির দরে ঊর্ধবগতির মধ্যে বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে চিনির আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে সরকার, পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কও কমানো হয়েছে।
আজ রবিবার (২৬ ফেব্রুয়অরি) শুল্ক ছাড়ের এই পরিপত্র এলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে।
এনবিআর-এর ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে প্রতি টন পরিশোধিত চিনির আমদানি শুল্ক রয়েছে ৬ হাজার টাকা, অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে ৩ হাজার টাকা। এই শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে ৩০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক রয়েছে। সেই শুল্ক হার ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, সব মিলিয়ে এখন থেকে আমদানিকৃত চিনির উপর থেকে খসড়া হিসাব অনুযায়ী, অপরিশোধিত প্রতি কেজি চিনির উপর থেকে শুল্ক ৭ টাকা এবং পরিশোধিত চিনির উপর থেকে ১০ টাকা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এনবিআর সদস্য (কাস্টমস নীতি) মো. মাসুদ সাদিক বলেন, “সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনায় বিশেষ করে আগামী রমজান মাসে ইফতারের বিশেষ প্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে চিনির দাম কিছুটা হলেও কমিয়ে আনতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
এই শুল্ক ছাড় আগামী ৩০ মে পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষ আগামী ২৩ মার্চ রোজা শুরু হবে, এক মাস পর এপ্রিলের শেষ ভাগে হবে ঈদুল ফিতর।
রোজার ইফতারিতে চিনির ব্যবহার বাড়ে। বাংলাদেশে বছরে ২৫ লাখ টন চিনির চাহিদা রয়েছে। দেশীয় চিনিকলগুলো এক লাখ টনের মতো চিনি উৎপাদন করতে পারে, চাহিদার বাকি চিনি আসে বিদেশ থেকে।
গত গত কয়েক মাস ধরে দেশে চিনির বাজারে অস্থিরতা চলছে। বর্তমানে প্রতি কেজি খোলা চিনি ১১৫ টাকা এবং প্যাকটজাত চিনি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।