সেনাবাহিনীর অভিযানে একে ৪৭ রাইফেলসহ বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ মগ লিবারেশন পার্টির ৫ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি এবং ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর সীমান্তের দুইল্যাছড়ি ও বটতলীর গহীন অরণ্যে গতকাল ভোরে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মানিকছড়ির তিনট্যহরী ইউপির অং থুই কারবারি বাড়ির ৭ নং ওয়ার্ডের মৃত আপ্রুসি মারমার ছেলে প্রদীপ মারমা (২৫), একই ওয়ার্ডের কংক্য মারমার ছেলে চহলা মারমা (২১), বান্দরবানের ২ নং ওয়ার্ড রেইচা ইউপির মনু সিং মারমার ছেলে উমং সিং মারমা (২২), মানিকছড়ির তিনট্যহরী ইউপির অং থুই কারবারি বাড়ি ৬ নং ওয়ার্ডের ক্যউ চিং মারমার ছেলে উসাজাই মারমা (২১) এবং রাঙামাটির বিলাইছড়ির তুনুকছড়ির থুইবাই মারমার ছেলে অংথোয়াইচিং মারমা (২৫)। এ সময় সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে একটি একে–৪৭ রাইফেল, মর্টার ৪টি, পয়েন্ট ২২ মিমি রাইফেল ১টি, এম–১ ১টি, ইউনিফর্ম জোড়া, চায়না পিস্তল ১টি, এলজি শর্ট ব্যারেল ১টি, এলজি এ্যামো. ৩৬ রাউন্ড, একে ৪৭ এ্যামো. ৭ রাউন্ড, এম–১ এ্যামো. ২৪ রাউন্ড, মোবাইল সেট ৬টি, ভারতীয় মুদ্রা ১১০ রুপি, ওয়াকিটকি ২টি, বাউন্ডার ৬টি, মাইন তৈরির সরঞ্জাম ও কাঁচের বোতল ৩৭টিসহ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গুইমারা রিজিয়নের সেনা সদস্যরা টানা ১০ ঘণ্টা অভিযান চালান। দুইল্যাছড়ি ও বটতলীর গহীন অরণ্যে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর চাঁদাবাজি ও সশস্ত্র অবস্থানের গোপন তথ্যে গতকাল ভোর সাড়ে ৩টার পর লক্ষ্মীছড়ি জোনের সেনাবাহিনী ও ফটিকছড়ি থানা পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়। সকাল ১১টার পর নির্জন একটি বসতঘরে লুকিয়ে থাকা এবং একটি চৌকির নিচে স্তূপ করে রাখা বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ সশস্ত্র সংগঠন মগ লিবারেশন পার্টির ৫ জন সদস্যকে আটক করে। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় আটক সন্ত্রাসী ও উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র মানিকছড়ি সেনা ক্যাম্পে আনা হয়। পরে ফটিকছড়ি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, বান্দরবানের দুর্গম অঞ্চলে মগ লিবারেশন পার্টি (এমএলপি) নামে একটি সশস্ত্র সংগঠনের তৎপরতা রয়েছে। খাগড়াছড়ি অঞ্চলে এই বাহিনীর সদস্যদের আটকের ঘটনা প্রথম।
ফটিকছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাসুদ বলেন, খাগড়াছড়ি–ফটিকছড়ি সীমান্তের কাঞ্চননগর বটতলী এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অবস্থানের খবরে যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলাসহ পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।