বদির জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন মামলায় অবশিষ্ট সাক্ষ্য দিলেন দুদক কর্মকর্তা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:১৩ পূর্বাহ্ণ

এক যুগ আগের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন মামলায় টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে অবশিষ্ট সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার বাদী ও দুদক কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ। গতকাল চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ তাঁর সাক্ষ্য রেকর্ড করেন। এ সময় আসামি আব্দুর রহমান বদি কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। এর আগে তিনি আংশিক সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। মামলার ৪১ সাক্ষীর মধ্যে বাদীর সাক্ষ্য নিতে আদালতের সময় লেগেছে দুই বছর পাঁচ মাস। ধার্য তারিখগুলোতে আসামি বদি হাজির থাকলেও সাক্ষী হাজির না হওয়া ও রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আবেদনের কারণে আটকা পড়ে সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম। দুদক পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু আজাদীকে বলেন, চার্জগঠন পরবর্তী নানা কারণে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। তবে সম্প্রতি সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগে দুদক কর্মকর্তা ও মামলার বাদী আংশিক সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। আজ তাঁর অবশিষ্ট সাক্ষ্য নিয়েছেন বিচারক। এর মধ্য দিয়ে তাঁর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১৯ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন সাক্ষ্য দিবেন দুজন আয়কর কর্মকর্তা।

২০০৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর নগরীর ডবলমুরিং থানায় টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগে মামলাটি করেন দুদকের সাবেক উপপরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ। মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়বদি, স্ত্রী শাহীন আকতার ও মেয়ে সামিয়া রহমানের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ মোট ১ কোটি ১১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৭৭ টাকা। কিন্তু দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ও ২০০৬ থেকে ২০০৭ কর বর্ষের রিটার্নে বদি যথাক্রমে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছেন ৫৬ লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকা ও ৩১ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮০ টাকা। সে হিসেবে বদি সর্বমোট ৭৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৭ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। যা তিনি অবৈধ উপায়ে অর্জন করেছেন। আইন অনুযায়ী এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

আদালতসূত্র জানায়, ২০০৮ সালের ২৪ জুন এ মামলায় আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল হয়। এর এক যুগ পর গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর চার্জগঠনের মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়। চার্জশিটে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয় ৪১ জনকে। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মুসা আজাদীকে বলেন, ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের ৮ জুলাই পর্যন্ত এ মামলা উচ্চ আদালত কর্তৃক স্থগিত ছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসর্বশেষ ধাপের ফল প্রকাশ
পরবর্তী নিবন্ধপৌর কার্যালয়ে নারী সাংবাদিককে হত্যার হুমকি