বিপিএলে প্রথম তিন ম্যাচে হার কুমিল্লার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকায়নি গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা। একে একে তুলে নিয়েছে ৯টি জয়। আর তাতে শুধু রেকর্ডই করেনি, নিজেদের রেখেছে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। গতকাল রংপুরকে উড়িয়ে দিয়ে তুলে নিয়েছে নবম জয়টি। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৭০ রানে হারিয়েছে রংপুরকে। এই জয়ের ফলে আগামীকাল রোববার টুর্নামেন্টের প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লা খেলবে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে। সেদিনই এলিমিনেটর ম্যাচে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হবে রংপুর রাইডার্স।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা কুমিল্লাকে ভাল শুরু এনে দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও লিটন। ৪৩ রান করেন দুজন। রিজওয়ান ফিরেন ২১ বলে ২৪ রান করে। সুনিল নারাইন সুবিধা করতে পারেনি এই ম্যাচেও। তবে লিটন টেনেছেন দলকে। দলকে ১০১ রানে পৌছে দিয়ে লিটন ফিরেছেন ৩৩ বলে ৪৭ রান করে। মেরেছে
৩টি চার এবং ৩টি ছক্কা। আগের ম্যাচে ঝড় তোলা আন্দ্রে রাসেল এই ম্যাচে সুযোগ না পেলেও খুশদিল শাহ, জাকের আলি এবং ইমরুল কায়েসের কল্যাণে ১৭৭ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা বিক্টোরিয়ান্স। ইমরুল ১৯, জাকের আলি ৩৪ এবং খুশদিল শাহ ২০ বলে করেন ৪০ রান। রংপুরের পক্ষে ২টি উইকেট নেন আজমত উল্লাহ।
১৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রংপুর রাইডার্স। ১২ রানে প্রথম উইকেট হারানো রংপুর ৩১ রানে হারায় ৪ উইকেট। তারপরও থেমে ছিলা রংপুরের উইকেট পতন। একের পর এক সাজঘরে ফিরছিল রংপুরের ব্যাটাররা। এক পর্যায়ে শতরানের নিচে অল আউট হওয়ার শংকায়
পড়েছিল রংপুর রাইডার্স। শেষ দিকে শামিম, আজমতউল্লাহ এবং রাকিবুলদের কল্যানে শতরান পার করে রংপুর রাইডার্স। ৩ ওভার বাকি থাকতে ১০৭ রানে অল আউট হয় রংপুর। দলের পক্ষে রনি তালুকদার ১৩, রহমানুল্লাহ ২৯, শামীম হোসেন ১১, আজমতউল্লাহ ১৫ এবং রাকিবুল হাসান করেন ১৬ রান। কুমিল্লা
ভিক্টোরিয়ান্সের পক্ষে ৩টি উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তানভীল ইসলাম এবং সুনিল নারাইন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন তানভির ইসলাম।











