প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে প্রথম দুই ম্যাচে হেরে একরকম কোনটাসা হয়ে পড়েছিল স্টেডিয়াম পাড়ার দল ফ্রেন্ডস ক্লাব। তবে তৃতীয় ম্যাচে এসে বেশ ভালভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে ফ্রেন্ডস। শুধু ঘুরে দাঁড়ানোই নয় বলা যায় প্রতিপক্ষকে একরকম উড়িয়েই দিয়েছে। আগের দুই ম্যাচের একটিতে জয় পাওয়া চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষ ক্রীড়া সংস্থা বেশ ভাল অবস্থানে থেকেই গতকাল ফ্রেন্ডস ক্লাবের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল। কিন্তু লজ্জার হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বন্দর দলকে। এবারের লিগের সবচাইতে কম রানে অল আউট হয়ে যায়ার লজ্জায় ডুবে বন্দর ক্রীড়া সংস্থা। আর তাতেই ৬ উইকেটের সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্রেন্ডস ক্লাব। লিগে তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেল ফ্রেন্ডস ক্লাব। দুর্দান্ত বোলিং করে ফ্রেন্ডস ক্লাবের বোলাররা ম্যাচটাকে অনেকটাই নিজেদের পকেটে নিয়ে ফেলেছিল। ব্যাটাররা কেবল সমাপ্তি টেনেছেন। এবারের লিগের সবচাইতে কম দলীয় স্কোর ৬৯ রানে অল আউট হয় বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সংস্থা। আর ফ্রেন্ডস ক্লাব সে লক্ষ্যে পৌছে যায় ১৪.২ ওভারে। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে সকালে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমেছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সংস্থা। কিন্তু শুরু থেকেই নড়বড়ে বন্দর দলের ব্যাটিং। ৬.৩ ওভারে মাত্র ৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় বন্দর দল। সেই ৭ রানেই প্রথম তিনজন ব্যাটার ফিরে বন্দর দলের। এরপর আর কোন ব্যাটারই দাড়াতে পারেনি উইকেটে। তবে বেশিরভাগ ব্যাটারই বাজে শট খেলে ফিরে এসেছে। ফ্রেন্ডস ক্লাবের বোলাররা যতটানা ভাল বল করেছে তার চাইতে বেশি খারাপ ব্যাটিং করেছে বন্দর দলের ব্যাটাররা। ফলে একের পর এক ব্যাটাররা আসা যাওয়ার মিছিলে শামিল হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ২৮.২ ওভারে মাত্র ৬৯ রান করে অল আউট হয়ে যায় বন্দর ক্রীড়া সংস্থা। দলের একজন মাত্র ব্যাটার দুই অংকের ঘরে যেতে পেরেছে। তিনি হলেন ১৭ রান করা সজিব মিয়া। বাকিদের কেউই দুই অংক স্পর্শ করতে পারেনি। ফ্রেন্ডস ক্লাবের পক্ষে ১২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন হোসনে হাবিব। ১৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন সাঈদ সরকার। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মেহরাব জোসি এবং মাজহার। মত্র ৭০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ফ্রেন্ডস ক্লাবও শুরুটা স্বস্তিতে করতে পারেনি। প্রথম ৯ বলে ১৮ রান তুলে নিলেও হারাতে হয় ওপেনার রবিনকে। ৬ বলে ১৭ রান করে ফিরেন রবিন। ৩৫ রানের মাথায় ফিরেন আরকে ওপেনার আকিব আলি। তিনি করেন ৮ রান। মাত্র ১ রানের ব্যবধানে ফিরেন আইচ মোল্লা এবং সুজন দাশ। রানের খাতাও খুলতে পারেনি সুজন দাশ। ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর আর বন্দর দলের বোলারদের আর কোন সুযোগ দেননি আবদুল্লাহ ওমর এবং সাঈদ সরকার। ১৪.২ ওভারে ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে এদুজন। ওমর অপরাজিত থাকেন ১৯ রানে। আর সাঈদ সরকার অপরাজিত থাকেন ৭ বলে ২১ রান করে। বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সংস্থার পক্ষে ২টি উইকেট নিয়েছেন সাজেদুল ইসলাম। একটি করে উইকেট নিয়েছেন আতিক এবং মঈনুল।