চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে প্রথম জয় পেয়েছে শহীদ শাহজাহান সংঘ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারের পর গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে শাহজাহান সংঘ। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শহীদ শাহজাহান সংঘ ১৯ রানে হারিয়েছে ইস্পাহানী স্পোর্টিং ক্লাবকে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তপক্ষ ক্রীড়া সমিতির সাথে ২৬৭ রান তাড়া করে ম্যাচ টাই করেছিল ইস্পাহানী এসসি। কিন্তু গতকাল শহীদ শাহজাহান সংঘের সাথে আর পেরে উঠলনা। হার মানতে হলো শাহজাহান সংঘের কাছে।
সকালে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমেছিল শহীদ শাহজাহান সংঘ। কিন্তু শুরুটা ভাল হয়নি তাদের। দুই ওপেনার মিম এবং বেলাল মাত্র ২৯ রান যোগ করতে পারে। ১৪ রান করে ফিরেন বেলাল। দশ রান পর আরেক ওপেনার মিমও ফিরেন ১৪ রান করে। এরপর অবশ্য শহীদ শাহজাহান সংঘের ব্যাটাররা কেউই বড় কোন ইনিংস খেলতে পারেনি। তবে দলের সবাই কিছুনা কিছু অবদান রেখেছে। দলের ব্যটারাদের মধ্যে সবচাইতে বেশি ৪৯ রান করেছেন। নাঈম। তবে বাকিরা সবাই মিলে সহায়তা করেছে দলের ইনিংসে। আর তাতেই নির্ধারিত ৫০ ওভারে শহীদ শাহজাহান সংঘের স্কোর দাড়ায় ৮ উইকেটে ২২৫ রান। দলের পক্ষে অন্যান্যের মধ্যে আতিক ২৮, হাবিব উল্লাহ ৩৩, রাব্বি ২৫, রনি ২৮, দিপু ১২ এবং মুন্না করেন ১৩ রান। ইস্পাহানী স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষে ২টি উইকেট নিয়েছেন সোহেল। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন সাজ্জাদ, জনি, জয়, রনি এবং ইমরুল।
২২৬ রানের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য মোটেও বড় হওয়ার কথা নয়। তার উপর আগের ম্যাচে ২৬৭ রান তাড়া করে ম্যাচ টাই করেছিল ইস্পাহানীর ব্যাটাররা। তবে গতকাল রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ওপেনার শুভ দাশকে হারায় ইস্পাহানী। আরেক ওপেনার হাসানুজ্জামান ফিরেছেন ২২ রান করে। তবে তৃতীয় উইকেটে তওসিফ এবং অমিত হাসান মিলে যোগ করেন ৭৫ রান। ৪২ রান করা তওসিফ ফিরলে ভাঙ্গে এ জুটি। এরপর চতুর্থ উইকেটে ইমরুল করিমের সাথে ২৯ রান যোগ করে ফিরেন ৪৮ রান করা অমিত হাসান।
তারপরও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন ইমরুল করিম। কিন্তু ৪৬ রান করে ইমরুল করিম ফিরলে জয়েল রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে ইস্পাহানী এসসি। পরের ব্যাটাররা চেষ্টা করেছেন বটে। কিন্তু দলকে জেতাতে পারেনি। ফলে ২০৬ রানে অল আউট হয় ইস্পাহানী এস সি। দলের পক্ষে শেষ দিকে আরিফুল ১৮ এবং জয় ১১ রান করলেও দলকে হারের কবল থেকে রক্ষা করতে পারেনি। শহীদ শাহজাহান সংঘের পক্ষে ৪০ রানে ৪টি উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় ভুমিকা রেখেছেন মাহফুজুর রাব্বি। এছাড়া ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সাজেদুল এবং দিপু। একটি উইকেট নিয়েছেন হাবিবউল্লাহ।