রান বন্যার ম্যাচে জয় হলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। শুরুতে ঝড় তুললেন শাই হোপ ও তামিম ইকবাল। কিন্তু সেই ঝড়কে পাত্তা না দিয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ানের মারকুটে ব্যাটিং ও জনাথন চার্লসের সেঞ্চুরিতে জয় পেয়েছে কুমিল্লা।
গতকাল মঙ্গলবার সিলেট স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ২১০ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় খুলনা। জবাব দিতে নেমে ১০ বল হাতে রেখেই জয় পায় কুমিল্লা। বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া এটি। এর আগে ২০৭ রান তাড়া করে ঢাকা প্লাটুনকে হারায় খুলনা টাইগার্স। নবম ম্যাচে এটি কুমিল্লার ষষ্ঠ জয়, অন্যদিকে সমান ম্যাচে সপ্তম হার খুলনার।
গতকাল বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় কুমিল্লা। শফিকুল ইসলামের প্রথম বলে চার মারেন লিটন দাস। কিন্তু পরের বলে হাতে চোট পান। ব্যথার যন্ত্রণা সঙ্গী করে মাঠ ছাড়েন তিনি। তিন নম্বরে খেলতে নেমে ভালো কিছু এনে দিতে পারেননি ইমরুল কায়েস। ৩ বলে ৪ রান করে কুমিল্লা অধিনায়ক আউট হন শফিকুল ইসলামের বলে। এরপরই কুমিল্লা ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে থাকেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও জনাথন চার্লস। মাত্র ২৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। এই ব্যাটার ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৯ বলে ৭৩ রান করেন। তার বিদায়ের পর জ্বলে উঠে জনাথন চার্লসের ব্যাট। ইনিংসের শুরুর দিকে কিছুটা ধীরস্থির ছিলেন তিনি। ৩১ বল থেকে আসে কেবল ৩৪ রান। এরপরই ঝড় তোলা শুরু হয় চার্লসের। প্রথমে আমাদ বাটের ওভারে ২২ রান ও নাহিদুলের ওভারে ২৪ রান নেন তিনি। শেষ অবধি এই ব্যাটার পেয়ে যান সেঞ্চুরির দেখা। ৫৬ বল খেলে ৫টি চার এবং ১১টি ছক্কার সাহায্যে চার্লস অপরাজিত থাকেন ১০৭ রানে। আজম খান, উসমান খান ও ইফতেখার আহমেদের পর চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে এবারের বিপিএলে সেঞ্চুরি পেলেন চার্লস। বড় রান তাড়ায় কুমিল্লা জয় পায় প্রায় দুই ওভার হাতে রেখেই। ১৮.২ ওভারে ৩ উইকেটে ২১৩ রানে পৌঁছে যায় তারা।
এর আগে খুলনা তামিম এবং শাই হোপের ব্যাটে দারুণ একটা সংগ্রহ পায়। বেশ কিছুদিন ধরেই রান খরায় থাকলেও তামিম ইকবালের ব্যাট কথা বলে গতকাল। খুলনা টাইগার্সের হয়ে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন তামিম। তবে পাঁচ রানের জন্য হয়নি তার সেঞ্চুরি পূরণ। একইভাবে নয় রানের জন্য শতক পাননি ক্যারিবিয়ান ব্যাটার শাই হোপ। তবে তাদের নব্বই ছাড়ানো ইনিংসেই দ্বিশতাধিক রানের সংগ্রহ পায় খুলনা। সিলেট স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ২১০ রান তুলে নেয় খুলনা টাইগার্স। ঝড়ো ইনিংস খেলতে থাকা হোপ ২৭ বলে পূর্ণ করেন ফিফটি। আর তামিমের লেগেছে ৪৫ বল। ফিফটি পূর্ণ করে আগ্রাসী ব্যাট চালাতে থাকেন তামিম। তবে শেষ ওভারে তার স্বপ্ন ভাঙ্গে। মাত্র পাঁচ রানের জন্য মিস করেন সেঞ্চুরি। শাই হোপকে থামতে হয় ৯১ রানেই। ৫৫ বলের এই ইনিংসে তিনি হাঁকান ৭ ছক্কা ও ৪ চার।
