বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে আশ্বাসের অগ্রগতি না থাকায় ফের অনির্দিষ্টকালের আন্দোলন শুরু করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এর আগে ৮২ দিন আন্দোলনের পর গত ২৩ জানুয়ারি ক্লাসে ফেরেন তারা। পরে ক্লাসরুম, ডাইনিং, বাথরুম সংস্কারের দাবিতে প্রশাসনকে এক সপ্তাহের সময় দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বেধে দেয়া সময় পেরিয়ে গেলেও দৃশ্যমান কোনো সংস্কার কাজ না হওয়ায় ফের ইনস্টিটিউট অবরুদ্ধ করেন তারা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল নয়টা থেকে চারুকলা ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাস অবরুদ্ধ করেন আন্দোলন রত শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে ক্লাসে ফেরার দাবিতে অবস্থান করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশকে।
জানা যায়, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা চায় নিয়মিত ক্লাস হোক। চলমান আন্দোলনের সঙ্গে তারা একমত না। এসময় তারা মানববন্ধনে প্রদর্শিত ব্যানারে লিখেন, শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে চারুকলা খোলার পর বন্ধ কেন? আমরা ক্লাসে ফিরতে চাই।
অবরোধে অংশ নেয়া চারুকলার চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী খন্দকার মাসরুল আল ফাহিম বলেন, শিক্ষামন্ত্রী আসার এক সপ্তাহেও কর্তৃপক্ষ আমাদের ক্লাসরুম, ডাইনিং, বাথরুম ইত্যাদি সংস্কার করতে পারেনি। তাই আমরা ফের মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছি।
এ ব্যাপারে সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ ইয়াকুব বলেন, আন্দোলন প্রত্যাহারের পর থেকেই আমাদের প্রকৌশল দপ্তরের লোক সেখানে গিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছে। পরদিন মন্ত্রণালয় থেকেও লোক গেছে। তারা বলেছে এটা সংস্কার করে ক্লাস করা যাবে। তবে কিছু শিক্ষার্থী কাজে বাধা দিচ্ছে। এছাড়া আজকে (গতকাল) প্রথমবর্ষের কিছু শিক্ষার্থী ক্লাস করতে গিয়েছিল। তাদেরকে ক্লাস করতে দেয়নি আন্দোলনকারীরা। পরে ওসব শিক্ষার্থী ক্লাসের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, আন্দোলনের পর থেকে আমরা চেষ্টা করেছি সংস্কার করার। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরুক। ইতোমধ্যে কিছু শিক্ষার্থী ক্লাসে ফেরার জন্য আন্দোলনও করছে। এ অবস্থায় শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে বাধা দেওয়াটা অযৌক্তিক।
এর আগে ২০২২ সালের ২ নভেম্বর থেকে ২২ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি ও ক্লাসবর্জন করেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। পরে ২২ দফা দাবি থেকে মূল ক্যাম্পাসে ফেরার এক দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যান তারা। টানা ৮২ দিন ক্লাস–পরীক্ষা বর্জনের পর গত ২৩ জানুয়ারি ক্লাসে ফেরেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।